রমজানে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিন্ন আমেজে ইফতার আয়োজন করে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্ন ফোরাম ও সংগঠনও ইফতার মাহফিল করে থাকে।
Advertisement
এবার রোজা শুরুর একদিন আগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) হঠাৎ করেই ক্যাম্পাসে ‘ইফতার পার্টি’ না করার অনুরোধ জানিয়ে একটি আদেশ জারি করেছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, যে আদেশের কপিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
আরও পড়ুন
Advertisement
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় শাবিপ্রবি উপাচার্য জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানতে আমরা আদেশটি দিয়েছি। ওটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য। বিভিন্ন দপ্তর, বিভাগ, ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ, প্রশাসন ইফতার মাহফিল বাবদ কোনো বরাদ্দ দেবে না।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের ভাষ্য, নিজেদের খরচায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা যেখানে, যেভাবে সম্ভব ইফতার আয়োজন করতে পারেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু কথা একটাই প্রশাসন কাউকে ইফতারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেবে না। সরকারপ্রধানের নির্দেশনা মেনে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত ভাষার কারণে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে স্বীকার করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কথাটাতে মনে হচ্ছে, ক্যাম্পাসের ভেতরে করাই যাবে না। আসলে বিষয়টি তেমন নয়।
রোববার (১০ মার্চ) শাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আসন্ন রমজান মাসে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
Advertisement
এএএইচ/এমকেআর/এমএস