দেশের ডিজিটাল স্পেসকে সুরক্ষিত রাখতে সমন্বিত পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাইবার সিকিউরিটি-বিষয়ক সেমিনার ‘ইনফোসেককন-২০২৪’ এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
Advertisement
আইসিটি সচিব বলেন, আমরা সবাই সাইবার আক্রমণের পিন পয়েন্টে রয়েছি। কারণ সাইবার অপরাধীরা আরও বুদ্ধিমান এবং তারা আক্রমণ করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করেন। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে। সরকারি-বেসরকারি, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ গবেষক এবং স্টার্টআপ সবাইকে আমাদের ডিজিটাল জগতকে নিরাপদ করার পাশাপাশি দেশকে ডিজিটালভাবে নিরাপদ করতে এগিয়ে আসা উচিত।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক (আইসিটি) এস এম তোফায়েল আহমেদ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সাইবার স্পেসে বিভিন্ন আক্রমণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে শুরু সবক্ষেত্রেই সাইবার রেজিলেন্সির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সার্টের সদস্য যুগ্ম পরিচালক (আইসিটি) ফাহাদ জামান চৌধুরী ‘বাংলাদেশ ব্যাংকিং সেক্টরে কমপ্লায়েন্স এবং রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক বাড়ানো: চ্যালেঞ্জ এবং প্রশমন’ বিষয়ে আলোচনা করেন। সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে তিনি বিভিন্ন সংস্থাকে গাইডলাইন মেনে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
Advertisement
সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের (এপনিক) সিনিয়র ইন্টারনেট সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ আদলি ওয়াহিদ ‘জিরো ট্রাস্ট সিকিউরিটি’র ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাইবার সিকিউরিটির এ কাঠামোর কিছু মূল চ্যালেঞ্জ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সমাধানের কিছু পথ নির্দেশনা দেন এ বিশেষজ্ঞ।
এটুআইর ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেন্টস মাহাদী উজ জামান ‘অ্যাক্সপ্লোরিং ডাটা সেন্টার এবং ক্লাউড পরিষেবা: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ বিষয়ে তার মূল বক্তব্যে বলেন, অনেক কারণেই বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড পরিষেবার জন্য একটি ক্রমবর্ধমান বাজারে পরিণত হয়েছে। এ খাতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির (এনসিএসএ) মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, সরকার দেশের ডিজিটাল স্পেস সুরক্ষিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি সাইবার নিরাপত্তা অঙ্গনে এনসিএসএর বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা অঙ্গনে কেউই শতভাগ সুরক্ষিত নয়। তাই আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশে ব্যাংকের ইডি (আইসিটি) দেবদুলাল রয় বলেন, ভৌগলিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দ্রুতই ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রযুক্তিগত উন্নতিতে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম