চলছে সতীর্থ শিরোনামে পঞ্চ আঁকিয়ের দলীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনী শুরু হয় গত ৭ মার্চ। চলবে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত। ছবিগুলোর দলীয় আয়োজনের শিল্পীরা হলেন ১৯৭২ ব্যাচে পাস করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী আলফা বেগম, জ্যোৎস্না মাহবুবা, নাজলী লায়লা মনসুর, সাঈদা কামাল ও সুরাইয়া চৌধুরী।
Advertisement
ভিন্নমাত্রার এই প্রদর্শনীতে পাঁচ সহপাঠীর আঁকা ৫০টি ছবি শোভা পাচ্ছে। এই ছবিগুলো বেশিরভাগই করোনাকালে আঁকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টিটিউট থেকে ১৯৭২ সালে পাস এই পঞ্চশিল্পী নিজ নিজ পেশার পাশাপাশি আঁকিয়ে জীবনের কথাও ভুলে যাননি। পেশাদার ও সংসারের কর্মময় জীবন দ্বৈরথের ফাঁকে ফাঁকে তারা এঁকেছেন নানা ধাঁচের নানান বিষয়বস্তুর ছবি।
ছবিগুলো লাল, সবুজ, হলুদ রঙের আঁচরে আঁকা বাস্তব-পরাবাস্তব ধাঁচের ছবি। ১৯৬৭ এসএসসি ব্যাচের এই শিল্পীরা যখন যাপিত জীবনপথে ধীরে চলার গতিতে; তখনও তাদের চিত্রকর্মের কল্পনার রাজ্যে নানা মিশেল রঙের নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ। প্রদর্শনীর ফ্রেমবন্দি ছবিগুলো তারই প্রমাণ। আঁকাআঁকির বিষয়বস্তু, সময়কাল খুব পেছনের নয়; সমসাময়িক। ছবিগুলো যেন বিমূর্ত আর প্রতিবাদমুখর; আবার কখনো স্বপ্ন-ভালোবাসার জীবনকথার সাক্ষী। কোনো ছবির ভাষা— অবারিত সুন্দর আর শান্তির বার্তাময়।
এ ব্যাপারে অন্যতম আয়োজন কারিগর প্রয়াত দেশসেরা আঁকিয়ে কাজী হাসান হাবিবের সহধর্মিণী উদ্যোক্তা জ্যোস্না মাহবুবা বলেন, ‘শুধু করোনার সময় আমরা প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারিনি। এছাড়া আমাদের এই আয়োজন প্রায় নিয়মিতই হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে নাজলী লায়লা মনসুর পেশাদার চারুশিল্প। আঁকাআঁকির পাঠ দিচ্ছেন এখনও; চট্টগ্রাম চারুকলায়। অন্যপেশার থাকার পরও আমরা বাকি চারজন তুলি-কলম তুলে রাখিনি। বরং সময় পেলেই মন-হৃদয়ের ভালোলাগার ছবি এঁকেছি।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আয়োজনের মধ্যে নারী দিবসকে অন্যভাবে যাপনের প্রয়াস হিসেবে আমাদের কেউ কেউ নারীদের নিয়ে বিশেষ ছবি উপস্থাপন করেছি। ছবিতে নারীদের প্রতিবাদের ভাষা জানিয়েছি। আমাদের ১১ জনের একটি সামাজিক যোগাযোগের গ্রুপ আছে। এবার আমরা পাঁচজন ছবি নিয়ে দলীয় প্রদর্শনীর আয়োজন করছি। আমাদের ছবিগুলো আমাদের জীবনের এক একটি ভাবনাচিত্র।
এর আগে ৭ মার্চ চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কর্মী এবং শিল্পী খুশি কবির। শিল্পীময় আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভি।
আরএএস/এমআরএম/জিকেএস
Advertisement