শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছিলো অলিখিত ফাইনালে। গত কয়েক বছর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হওয়া মানেই যেন কোনো বিতর্কিত কিছু ঘটে যাওয়া।
Advertisement
শনিবারের ম্যাচেও ঘটলো। লঙ্কান পেসার নুয়ান থুসারার বল মোকাবেলা করতে এসেই বোল্ড হয়ে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। আউট হওয়ার পর উইকেট ছেড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই দেখা গেলো মেজাজ হারিয়ে ফেলেছেন হৃদয়। তেড়ে যাচ্ছিলেন কোনো এক লঙ্কান ক্রিকেটারের দিকে।
ফিল্ড আম্পায়ার তানভির আহমেদ, নন স্ট্রাইক ব্যাটার সৌম্য সরকার এবং অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে পানি নিয়ে যাওয়া তাইজুল ইসলাম তাওহিদকে ফেরান। এরপর আরও একবার তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। শ্রীলঙ্কার কোনো এক ক্রিকেটার হৃদয়কে আপত্তিকর কিছু বলেছিলো, যে কারণে তিনি এমনটা করেছিলেন।
তবে আইসিসির চোখে তাওহিদ হৃদয়ের এমন আচরণ অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে। যে কারণে তাওহিদ হৃদয়ের ম্যাচ ফি’র ১৫ ভাগ জরিমানা করা হয়েছে। সঙ্গে তার ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ ভঙ্গ করার অপরাধ করেছেন। একই সঙ্গে তার আচরণে খেলোয়াড় আচরণ বিধির আর্টিকেল ২.২০ ধারা ভঙ্গ করেছেন। যে অপরাধে খেলার স্পিরিট নষ্ট হয়।
তাওহিদ হৃদয় নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। যে কারণে নতুন করে শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এই শাস্তির ঘোষণা দেন আইসিসি এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। আর অভিযোগ আনেন অনফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত, তানভির আহমেদ, থার্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং ফোর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান।
আইএইচএস/
Advertisement