দেশজুড়ে

উচ্চগতির ইন্টারনেট জীবন কানেক্টেভিটি হবে বিটিসিএলের লাইফলাইন

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, উচ্চগতিসম্প্ন্ন ইন্টারনেট জীবন কানেক্টেভিটি হবে বিটিসিএলের লাইফলাইন। এই একটি প্যাকেজ যা দিয়ে আমরা বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতো পারবো।

Advertisement

তিনি বলেন, উচ্চ গতিসম্পন্ন এ প্যাকেজ সারাদেশে চার লাখ মানুষকে হবে। মাত্র ৩০০ টাকায় ৬ এমবিপিএস, ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস, এক হাজার টাকায় ২০ এমবিপিএস গতিসম্পন্ন লাইন গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এরপরও বিটিসিএল লাভের মুখ না দেখলে ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেবার মান বাড়িয়ে বিটিসিএলের প্রতিবছর দেড়শ থেকে দুইশ কোটি টাকা লোকসান বন্ধ হবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।

রোববার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরপুর বিটিসিএলের কার্যালয়ে উচ্চগতিসম্প্ন্ন ইন্টারনেট জীবন কানেক্টেভিটির উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটকের ৪৮ লাখ গ্রাহকের যে সিম অ্যাক্টিভ আছে তাদের সমস্য দূর করার জন্য জাদুকরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলালিঙ্কের সঙ্গে অ্যাক্টিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে উচ্চগতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি। ইন্টারনেট ভালো পাচ্ছি, ভয়েজ কলও ভালো হচ্ছে। টেলিটকের নেটওয়ার্ক না থাকলেও আমরা সবধরনের সুবিধা এখান থেকে পাচ্ছি। আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই পাইলটিং প্রোগ্রাম শেষ হবে। পরবর্তী সময়ে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রথমে বাংলালিঙ্ক, পরে জিপি, রবির সঙ্গে টেলিটকের শেয়ারিং নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।

Advertisement

পরে মেহেরপুর ডাকঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল, ডাক বিভাগের খুলনা সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল সামসুল আলম, বিটিসিএললের উপমহাব্যবস্থাপক নারায়ন চন্দ্র ঘরামী, জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক প্রমুখ।

আসিফ ইকবাল/এসআর/এমএস