আন্তর্জাতিক

নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগে ভারতজুড়ে তোলপাড়

ভারতের নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র কয়েক দিন আগে শনিবার (৯ মার্চ) তিনি পদত্যাগ করেন। ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু গোয়েলের পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন।

Advertisement

রোববার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অরুণ গোয়েল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পদত্যাগ না করতে বলা হয়েছিল। এদিকে ঠিক কী কারণে হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন, তা জানাননি অরুণ গোয়েল।

আরও পড়ুন: 

প্রার্থী তালিকায় বড় চমক মমতা ব্যানার্জীর, নেই মিমি-নুসরাত ফের পশ্চিমবঙ্গে মোদীর সফর বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ

ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্র জানা গেছে, অনেকদিন থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমারের সঙ্গে কিছু বিষয়ে বিরোধ চলছিল গোয়েলের। এ কারণেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। এদিকে, পদত্যাগের পর অনেকে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও পরে শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েলের শরীর পুরোপুরি ঠিক আছে।

Advertisement

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তিনজন সদস্য থাকেন। একজন প্রধান কমিশনার ও দুজন শুধু কমিশনার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন অনুপ পান্ডে। এখন অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করার ফলে এখন শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমারই প্যানেল সদস্য হিসেবে থাকলেন।

 আগামী বছরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তারপর তারই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথা ছিল। অবসরপ্রাপ্ত আমলা অরুণ গোয়েল পাঞ্জাব ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা (আইএএস) কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগ দেন।

এদিকে, অরুণ গোয়েলের আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে সরব হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলটির সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের নাম পরিবর্তন করে ‘নির্বাচন অমিশন (অপসারণ)’ রাখা উচিত। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে, কিন্তু এখন ভারতে মাত্র একজন নির্বাচন কমিশনার আছেন। কেন?

আরও পড়ুন: 

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে গরিব বানিয়ে রাখতে চায় তৃণমূল: মোদী লোকসভা নির্বাচন, প্রার্থীদের প্রথম তালিকা প্রকাশ কংগ্রেসের যুদ্ধের জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের ক্ষমতা কার্যকরভাবে ক্ষমতাসীন দল ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকলেও, কেন মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৩ দিন পরও নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়নি? মোদী সরকারকে এই প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে হবে।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেছেন, মূল নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর ওপর সরকারের প্রভাব রয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ