ধর্ম

নবুয়তের সত্যতায় ইয়াহুদিদের কথোপকথন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পর ইয়াহুদিরাই সর্ব প্রথম তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলো। অথচ তারাই বিশ্বনবির আগমনের অপেক্ষায় থাকতো। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো উম্মুল মুমিনিন হজরত সাফিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা। তিনি নিজেই একজন বড় ইয়াহুদি আলেমের মেয়ে এবং আরেক জন বড় ইয়াহুদি আলেমের ভাইঝি ছিলেন।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পর হজরত সাফিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহার বাবা ও চাচা বিশ্বনবির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে বুঝতে পারেন যে, তিনি সত্যি আল্লাহর রাসুল। অতপর তারা বাড়ি ফিরে এসে যে আলোচনা করে, উম্মুল মুমিনিন হজরত সাফিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা নিজ কানে তা শ্রবণ করেন। যা এখানে তুলে ধরা হলো-চাচা : আমাদের কিতাবে নবির খবর দেয়া হয়েছে, ইনি কি সত্যিই সেই নবি?পিতা : আল্লাহর কসম, ইনিই সেই নবি।চাচা : এ ব্যাপারে তুমি কি একেবারে নিশ্চিত?পিতা : হ্যাঁ।চাচা : তাহলে এখন কি করতে চাও?পিতা : যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে এর বিরোধিতা করে যাবো। একে সফলকাম হতে দেবো না।কারণ বর্ণনায় ইমাম রাজি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ইয়াহুদিরা নবুয়তকেও তারা মিরাসি (পৈত্রিক) সম্পত্তি মনে করতো। তাই একজন আরবকে তার দাবিদার দেখতে পেয়ে এটাকে উল্টা হিংসা ও বিদ্বেষের পরিণতি বানাতে লাগলো। তাদের বিশ্বাস ছিল যে, প্রতীক্ষিত নবুয়তের এ মহান মর্যাদা তাদের সম্প্রদায়ের ভাগ্যেই জুটবে, কিন্তু পরে যখন তা আরবদের মাঝে দেখতে পেল, তখন তাদের হিংসা এবং জেদ উস্কে উঠলো।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গর্হিত মনোবৃত্তির অপকারিতা ও ধংস থেকে হিফাজত করুন। ইসলামকে দল, মত, জাতি বর্ণ-বৈষম্যের উর্ধ্বে রেখে তার বিধি-বিধান বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস

Advertisement