সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজে প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। রান-বন্যার ম্যাচে ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট। পর পর দুই বলে এবি ডি ভিলিয়ার্স ও শেন ওয়াটসনকে আউট করে সৃষ্টি করেছিলেন হ্যাটট্রিক চান্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অন্য বোলাররা যেখানে ভূরি ভূরি রান দিয়েছেন সেখানে মুস্তাফিজ ছিলেন বেশ মিতব্যয়ী।আর এরপরই মুস্তাফিজ বন্ধনায় মেতেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে কলকাতার আনন্দবাজার – সব জায়গাতেই শুধু একটা নাম মুস্তাফিজ!কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার শিরোনাম করেছে, ‘আইপিএল অভিষেকেই জোড়া উইকেট মুস্তাফিজুরের’। খবরে লিখেছে, ‘দলগত রান পৌঁছে গিয়েছে ১৮৬তে। তখনই কাটার মাস্টারকে এনে বাজিমাত ওয়ার্নারের। ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরালেন ডি ভিলিয়ার্সকে। তখন ৮২ রানে ব্যাট করছেন তিনি। কিন্তু কাটার মাস্টারের বলে মর্গ্যানকে ক্যাচ দিয়ে বসলেন তিনি। পরের বলেই তুলে নিলেন ওয়াটসনকে। হ্যাটট্রিকের আশায় তখন পুরো দল। কিন্তু সেটা না হলেও জোড়া উইকেটের ওভারে দিলেন মাত্র ৩ রান।’ভারতের শীর্ষ দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া ম্যাচের পাঁচটি আলোচিত মুহূর্তে রেখেছে মুস্তাফিজের ‘আলো ছড়ানো অভিষেক’কেও। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘শুরুতেই মুস্তাফিজ দুর্দান্ত ছিলেন, প্রথম দুই ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১০ রান। কিন্তু তাঁর সতীর্থরা রানের বন্যা বইয়ে দিলেও মুস্তাফিজ ঠিকই ছিল মিতব্যয়ী। হায়দ্রাবাদের স্থানীয় পত্রিকা ডেকান ক্রনিকালেও ছিল মুস্তাফিজ স্তুতি। তারা লিখেছেন, ‘দলের বাকিরা যখন রানের পর রান দিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বস্তির সুবাতাস নিয়ে আসনে মুস্তাফিজ।’হিন্দুস্তান টাইমস মুস্তাফিজকে নিয়ে বিশেষ একটি ফিচার প্রকাশ করেছে। মুস্তাফিজের অবিশ্বাস্য দ্রুত উত্থানকে পত্রিকাটি শিরোনাম করেছে: ‘স্লোয়ার ওয়ান ফাস্ট-ট্র্যাকস মুস্তাফিজুর রহমান টু স্টারডম’।এমআর/পিআর
Advertisement