আন্তর্জাতিক

বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তিনদিনও হয়নি। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তীব্র আক্রমণ শানালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজনীতিতে যোগদানের পর প্রথম ভাষণে তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে হবে। তাদের বাংলার ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে।

Advertisement

শনিবার (৯ মার্চ) শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দানে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। সেই জনসভা থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ঝড় তোলেন সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ।

তিনি বলেন, আমি সদ্য বিজেপিতে কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছি। আমার কিছু কথা বলার আছে। আমরা এমন এক রাজ্যে বাস করি, যেখানে ক্ষমতায় আছে একটা দল, যাদের নাম আমি মুখেও আনতে চাই না। কারণ এই দলটি সম্পূর্ণ দুর্বৃত্তদের দিয়ে গঠিত। আমি যখন বিভিন্ন মামলা শুনছিলাম, বিচারপতি হিসেবে তখন আমার চোখে ধরা পড়েছিল সেই ভয়ানক দুর্নীতি।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

পদত্যাগ করছেন বিচারপতি অভিজিৎ, রাজনীতিতে যোগদানের গুঞ্জন তফশিলের আগেই বিজেপির ১৯৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে গরিব বানিয়ে রাখতে চায় তৃণমূল: মোদী

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সাবেক বিচারপতি বলেন, আজও বহু চাকরিপ্রার্থী যারা অনেক বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি। যাদের দেওয়া হয়েছে, তারা অনেক কম নম্বর পেয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরিটা কিনেছেন। এই দুর্বৃত্তরা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে।

তৃণমূলের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, খাদ্য দুর্নীতিতে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী জেলে। শিক্ষা দুর্নীতিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীও জেলে। আবাস যোজনার রুপি চুরি করা হয়েছে। ৫০ হাজার রুপির মধ্যে ২৫ হাজার রুপি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই দুর্বৃত্তদের চোখের সামনে দেখেছেন। আগামী নির্বাচনে এই দুষ্কৃতদের দলকে শিক্ষা দিতেই হবে। তাদের বাংলার ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে। বুঝিয়ে দিতে হবে, তাদের মেয়াদ শেষ।

এসময় জনতার উদ্দেশে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আজ এখানে শপথ নিয়ে যান, ‘নো ভোট টু তৃণমূল কংগ্রেস’। শপথ নেন, তৃণমূলকে একটি ভোটও নয়। আমাদের ৪২ আসনের মধ্যে ৪২টিই দখল করতে হবে, যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওরা মুছে যায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ের পথ দেখিয়ে দেওয়া যায়। এই লোকসভা নির্বাচন থেকেই তার উদ্যোগ নিতে হবে।

ডিডি/কেএএ

Advertisement