দেশের সিনেমা ও ক্রিকেট অঙ্গনের দুই সুপারস্টার শাকিব খান ও সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। অন্যদিকে শাকিব খানকে বলা হয় দেশের সিনেমার সুপারস্টার।
Advertisement
পেশাগত কাজে দুজনকেই থাকতে হয় তুমুল ব্যস্ত। ফলে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক থাকলেও সচরাচর দেখা সাক্ষাৎ হয় না তাদের। তবে এবার শুধু দেখাই নয়, একত্রে কাজ করার বিষয়েও চুক্তিবদ্ধ হলেন।
একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এরই মধ্যে পূর্বে পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন শাকিব খান। এই প্রতিষ্ঠানটিতেই শুভেচ্ছাদূত হয়ে যোগ দিলেন সাকিব আল হাসান। তবে কোম্পানিটির নতুন ব্র্যান্ড ‘টাইলক্স’র জন্য।
আরও পড়ুন: নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন শাকিব খান
Advertisement
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঘটা করে আয়োজন করা হয় শাকিব-সাকিব চুক্তি স্বাক্ষরের। যেখানে শাকিব খানও হাজির ছিলেন।
এ সময় শাকিব খান বলেন, সাকিব আল হাসান কিংবা শাকিব খান, যে নামে ডাকা হোক; উই আর ব্রাদার। আজ একটা অলরাউন্ডার ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব আল হাসান শুধুই যুক্ত হয়নি, বরং উচ্ছ্বসিত মনে যুক্ত হয়েছেন। কারণ তিনিও বুঝেছেন, এটা সত্যিই একটা বিশ্বমানের পণ্য। যেটা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব, এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
এসময় সাকিব আল হাসান বলেন, এ ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো লাগছে। আমি আশা করছি এই ব্র্যান্ডটি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হবে এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসবে। আমরা দেশের পণ্য ব্যবহার করব। আমার মনে হয় মানুষও এতে উপকৃত হবে।
গত জানুয়ারিতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন শাকিব খান। প্রতিষ্ঠানটি কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, হোম কেয়ার ও স্কিন কেয়ার বিষয়ক পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করবে।
Advertisement
এদিকে আসন্ন ঈদে মুক্তি পাবে শাকিব খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘রাজকুমার’। এর বেশিরভাগ শুটিং সম্পন্ন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে শাকিবের আরেক সিনেমা ‘দরদ’।
এমআই/এমএমএফ/জেআইএম