দেশজুড়ে

গোপন কক্ষে ঢুকে দেখিয়ে না দিলে ভোট দিতে পারছেন না অনেক ভোটার

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গোপন কক্ষে ঢুকে দেখিয়ে না দিলে ভোট দিতে পারছেন না অনেক নারী ভোটার। তারা বলছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) তাদের কাছে নতুন। এজন্য কারো সহযোগিতা ছাড়া তারা ভোট দিতে পারছেন না। আগে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলে ভোট দিতে এসে তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।

Advertisement

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ জিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা যায়।

গোদারাঘাট এলাকা থেকে ভোট দিতে আসা নাদিরা বলেন, ‘এবারই প্রথম ভোটার হয়েছি। ইভিএমে প্রথম ভোট দিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় তা আমার জানা নেই। এজন্য টেনশন হচ্ছে ঠিকমতো ভোট দিতে পারবো কি-না।’

৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চর কালিবাড়ি থেকে ভোট দিতে এসেছেন রূপালী আক্তার। তিনি বলেন, ‘ইভিএম মেশিন সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমি যদি নিজে ভোট দিতে না পারি, তাহলে অন্য কারো সহযোগিতা নিতে হবে।’

Advertisement

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইভিএম বিষয়ে ধারণা না থাকায় তাদের অনেকেই নিজে নিজে ভোট দিতে পারছেন না। এজন্য গোপন কক্ষে অন্যের সহযোগিতায় তারা ভোট দিচ্ছেন।

নারী ভোটার কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল বাতেন বলেন, বৃদ্ধ নারীদের ভোট দিতে সময় লাগছে। আমাদের তো ইভিএম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভোটারদের যদি কিছুটা ধারণা দেওয়া হতো, তাহলে ভোট দিতে সময় লাগতো না। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮০৫টি ভোট পড়েছে বলে জানা তিনি।

পুরুষ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ভোটার ছাড়া কেউ গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না। একজনের অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের সতর্ক করা হয়েছে।

শহীদ জিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করতে এসেছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। আশা করছি শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হবে।

Advertisement

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম