জাতীয়

রাইডশেয়ারিং সুবিধায় ঢাকায় নারী চাকরিজীবী বাড়বে সাড়ে ৩ লাখ

নারীকে কর্মমুখী করতে নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। যাতায়াতের সুব্যবস্থার ফলে ঢাকায় নারী কর্মজীবী বাড়ছে। ২০২৮ সালের মধ্যে রাজধানীতে নারী কর্মশক্তির হারি ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ভালো রাইডশেয়ারিং সুবিধা পাওয়ায় ওই সময়ের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ নারী ঢাকার কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারেন। এতে ২০২৮ সালের মধ্যে ঢাকার অর্থনীতির আকার ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি বাড়বে।

Advertisement

সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন সম্ভাবনার তথ্য উঠে এসেছে। ‘রাইড-হেইলিং: অ্যা প্ল্যাটফর্ম ফর উইমেনস ইকোনমিক অপারচুনিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার।

নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলোর কার্যকর ভূমিকার কথা উঠে এসেছে এ প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, কর্মশক্তিতে আরও বেশি নারীকে যুক্ত করতে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নারীদের কর্মশক্তিতে অংশগ্রহণের পরিমাণ কম। ২০২২ সালে বিশ্বে নারীদের কর্মশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ছিল ৪৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশে ছিল ৪৩ শতাংশ। প্রতিবেদনটি অনুসারে, নারীর যাতায়াতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হলো—নিরাপদ যানবাহনের স্বল্পতা এবং কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে বর্তমান ভারসাম্যহীনতা।

Advertisement

এতে আরও বলা হয়, এমন প্রেক্ষাপটে নারীদের কর্মশক্তিতে যোগদান কিংবা আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য উচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, নিরাপদ ও বিশ্বস্ত পরিবহন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন রাইড-হেইলিং সেবাগুলো এ প্রয়োজনীয়তা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উবারের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল নারী ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। বাংলাদেশে নারীদের নিরাপদ চলাচল ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।

উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উবার। দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য কর্মশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো খুবই জরুরি। অক্সফোর্ড ইকোনমিকসেরর প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য যাতায়াতব্যবস্থার ফলে আরও বেশিসংখ্যক নারীর জন্য কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, উবার ও অন্যান্য রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলোকে এ জেন্ডার কমিউট গ্যাপ সমাধানে কাজ করতে দেখে আমি আনন্দিত। এর মাধ্যমে নারীরা নিরাপদে ও সুবিধাজনকভাবে সরাসরি কমর্স্থল বা নিজের কাছাকাছি গণপরিবহন স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারেন। বর্তমান ও ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যে অবদান রাখায় নারীদের সাহায্য করতে পেরে উবার গর্বিত।

Advertisement

এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম