জাতীয়

খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি কমাতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে গবেষণার তাগিদ

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্ভূত কীটপতঙ্গের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

শনিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে পাঁচ দশকে কীটতাত্ত্বিক গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন তারা এ তাগিদ দেন।

বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি সম্মেলনটি আয়োজন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতির সাবেক সভাপতি ও আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক সৈয়দ নুরুল আলম সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রুহুল আমীন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

এসময় বক্তারা বলেন, কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম যুগোপযোগী করার জন্য বর্তমান কৃষিনীতি হালনাগাদকরণ, নতুন নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ হতে সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

Advertisement

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, কৃষি গবেষণার আধুনিকায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্ভূত কীটপতঙ্গের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য তিনি কীটতত্ত্ববিদগণের পরামর্শ দেন।

বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাবে বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গের দ্রুত বিস্তার ঘটছে। কৃষকেরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কীটপতঙ্গের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গ আক্রমণের বিস্তরণের জন্য বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পতিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস করতে কার্যকর পরিবেশ বান্ধব বালাই ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নের ওপর সম্মেলনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কীটপতঙ্গের সংরক্ষণ, বংশবৃদ্ধি ও মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার জোরদার করা আবশ্যক।

তারা বলেন, গত পাঁচ দশকে কীটতাত্ত্বিক গবেষণার উন্নয়ন আশাব্যঞ্জক হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গবেষণার কর্মপরিকল্পনা আরও কার্যকর ও যুগোপযোগী করা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য কীটতত্ত্ব বিষয়ে আধুনিক প্রায়োগিক শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

ভারতের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদরা আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে সম্মেলনে ৪টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে কারিগরি সেশনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নবীন ও প্রবীণ বিজ্ঞানী ও অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এনএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম