দেশজুড়ে

কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নগরী

রাত পোহালেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচন। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে নগরীরর ২৭টি ওয়ার্ডকে রাখা হয়েছে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে।

Advertisement

সকাল থেকেই নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে কিছুক্ষণ পর পর টহল দিতে দেখা গেছে র্যাব, বিজিব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের। ফল ঘোষণার পর পর্যন্ত এ নিরাপত্তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।

জানা যায়, উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার (বাস প্রতীক) মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি প্রতীকে), বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও দুই বারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (ঘড়ি প্রতীক), সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া প্রতীক)।

এবারের নির্বাচনে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ২৮২ জন, নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের দুই জন ভোটার রয়েছেন। ৬৪০টি ভোটকক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ১০৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৬৪০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, এক হাজার ২৮০ জন পোলিং এজেন্ট কাজ করবেন।

Advertisement

কমিশন সূত্র জানায়, নির্বাচন কালীন নিরাপত্তার জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে, ২৭ টিমে ৯৩৯ জন র্যাব সদস্য, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে এক হাজার ৩৩৯ জন এবং নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা আদর্শ সদর ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার দুটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে।

নির্বাচনের দিন প্রতি কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ, দুজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ নারী ও পুরুষ আনসার ভিডিপি সদস্য থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য একজন বেশি অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য বেশি থাকবেন। অর্থাৎ সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকাবেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণ ভোটারা যেন নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ২৭ টি পেট্রোল টিম গঠন করা হয়েছে। দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবেন সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রচারণা শেষ হওয়ার পর পরই শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো কুমিল্লা নগরীকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ফল ঘোষণার পর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। আশা করছি কুমিল্লাবাসীকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

Advertisement

জাহিদ পাটোয়ারী/এনআইবি/এএসএম