ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করলো নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিশরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রত্যুষে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।
Advertisement
দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ।
দুপুরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটির মূল কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানোর পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়।
Advertisement
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তার বক্তব্যে ৭ মার্চের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির সব শোষণ, নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠার এবং মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার এক গভীর ডাক। এ ডাক ছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আহ্বান। যে আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সারা বিশ্বে। এ ভাষণের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, যুগে যুগে ৭ মার্চের ভাষণ নিপীড়িত, লাঞ্ছিত স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণা ও উদ্দীপনার উৎস হিসেবে কাজ করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগ্রত থাকবে।
Advertisement
বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে Memory of the World International Register এর অন্তর্ভুক্ত করায় তিনি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেডএইচ/এএসএম