কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্যসহ যে কোনো ধরনের বৈষম্য আইনতভাবে নিষিদ্ধ। তথাপি প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই নারীরা বহু ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। নারীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ঠিকই কিন্তু নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনও ততটা বদলায়নি।
Advertisement
শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নারী শ্রমিক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।
তারা বলেন, নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না ঘটার ফলে কর্মস্থলে নারীর কাজের পরিবেশও তেমন অনুকূল হয়ে উঠেনি। আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন চাই।
নারী সমাবেশে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, কেন্দ্রীয় নেতা খাদিজা রহমান, মিসেস সুইটি, মো. ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি, সেলিনা হোসাইন, রাবেয়া ইসলাম, মো. তাহেরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নেতা মো. ফারুক, মো. সুমন হোসেন মোল্লা, স্বপ্না আক্তার, শাবনুর, নুরজাহান, সালমা বেগম, জোসনা বেগম, খাদিজা আক্তার প্রমুখ।
Advertisement
সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন, বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানি খাতে অধিংকাশই নারী এবং সবাই দরিদ্রসীমার নিচে বাস করে। এই শিল্প প্রসারের ফলে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পায়। এ শিল্পে বর্তমানে কাজ করে প্রায় ৭০ ভাগ নারী শ্রমিক। কিন্তু এই খাতে শ্রমিকদের সর্বাধিক অবদান থাকলেও তারা তাদের ন্যূনতম আইনগত অধিকারসহ মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সামাজিক অনাচার-অবক্ষয় থেকে নারীকে রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণে এমন কি আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে আইনের আশ্রয় লাভ নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, নারীকে পদে পদে নিগৃহীত হতে হয়, লাঞ্ছিত হতে হয়। নারীর এই বঞ্চনা-লাঞ্ছনা শতগুণ বৃদ্ধি পায় একজন কর্মজীবী- শ্রমজীবী নারীর ক্ষেত্রে। পারিবারিক ও সামাজিক নানাবিধ সমস্যার পাশাপাশি তাকে কর্মক্ষেত্রের নানা ধরনের সমস্যা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়। বেতন বৈষম্য, স্বাস্থ্য সম্মত কর্মপরিবেশের অভাব, অতিরিক্ত কাজ, রাত্রিকালীন কাজ, সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য ছুটি না পাওয়া, ট্রেড ইউনিয়ন করতে না দেওয়া, এমনকি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির মত জঘন্য ঘটনাও ঘটছে।
আরএএস/এসএনআর/এমএস
Advertisement