কলাগাছের ঝোপের আড়ালে কয়েক টুকরো ছেঁড়া পলিথিন মোড়ানো ছাপড়া ঘরে বসবাস করা সেই রানু বেগম নিজের ঘর পাচ্ছেন। তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম। এরইমধ্যে রানু বেগমের জন্য নতুন ঘর তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রানু বেগমের নতুন ঘর তৈরির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের পূর্ব নলতা এলাকায় ষাটোর্ধ্ব রানু বেগমের ৫০ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর এলাকায়। একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সহায়সম্বল হারিয়ে স্বামী সন্তানদের সঙ্গে চলে যান রাজধানী ঢাকায়। তবে অভাবের সংসারে সন্তানের কাছে বোঝা হয়ে চার বছর আগে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন রানু বেগম।
ভাইদের অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় অন্যের বাড়িতে দুমুঠো খাবারের বিনিময়ে কাজ করার পাশাপাশি রাস্তার ধারে এক টুকরো জমিতে পলিথিন আর কাপড় দিয়ে মোড়ানো খুপড়ি ঘর বানিয়ে জীবনযাপন করছেন। তার জীবন যেন পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের আসমানী কবিতার আসমানীদের মতোই।
Advertisement
এনিয়ে রোববার (৩ মার্চ) জাগো নিউজে ‘যখন ঝড়-তুফান আহে তখন বইয়া বইয়া ভিজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমের নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে নড়িয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে রানু বেগমের ঘর করার জন্য জায়গা নির্ধারণ করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘর তৈরির কাজ শুরু করা হয়।
রানু বেগম বলেন, আমি ভীষণ খুশি হইছি। আমার জন্য এমপি সাহেব নতুন একটা ঘর করে দিতাছেন। আমার আর ঝুপড়ি ঘরে কষ্ট করতে হইবো না। আল্লাহ তারে ভালো রাখুক।
সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি সংবাদটি দেখতে পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। আমার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম আশরাফুন নেছা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রানু বেগমকে একটি নতুন ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আজ সকাল থেকেই নতুন ঘর তৈরির কার্যক্রম চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন ঘর তৈরির কাজ সমাপ্ত হবে। রানু বেগম এবার নতুন ঘরে ঈদ করবেন। এছাড়াও তার জন্য সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে।
Advertisement
বিধান মজুমদার অনি/এফএ/এমএস