কৃষি ও প্রকৃতি

কাউখালীতে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ

রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের বড়বিলি এলাকার কৃষক চিনুমং মারমা প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক নিজের ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন রঙিন ফুলকপি। এতেই সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চিনুমং। এ ফুলকপি চাষে ফলন হয়েছে ৩ হাজার কেজিরও বেশি। প্রতিটি ফুলকপির ওজন গড়ে দেড় থেকে ২ কেজি।

Advertisement

কৃষক চিনুমং মারমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের বড়বিলি গ্রামে হাইব্রিড জাতের রঙিন ফুলকপির প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়।

কৃষক চিনুমং কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পেয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন। প্রথমবারেই ভালো ফলন পেতে শুরু করেছেন। বাজারেও চাহিদা আছে রঙিন ফুলকপির। প্রতি কেজি গড়ে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন বলেও জানান এ কৃষক।

আরও পড়ুন

Advertisement

রঙিন ফুলকপি চাষে লাভবান ঈশ্বরদীর শফিকুল  রঙিন ফুলকপি চাষে স্বপ্ন দেখছেন কৃষক 

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সহিদুজ্জামান সাহেদ জানান, রঙিন ফুলকপি এ উপজেলায় প্রথম আবাদ হয়েছে। এটি ব্যতিক্রম এবং আকর্ষণীয় হওয়ায় স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে। সাধারণ ফুলকপি থেকে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসার রাসেল সরকার বলেন, ‘হাইব্রিড জাতের এ রঙিন ফুলকপি কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। রঙিন ফুলকপি চাষের বড় সুবিধা হচ্ছে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈবসার প্রয়োগ করেই সর্বোচ্চ ফলন পাওয়া যায়। আগামী বছর উপজেলায় ব্যাপক আকারে চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।’

সাইফুল উদ্দীন/এসইউ/জিকেএস

Advertisement