জাতীয়

জাতির মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা : নাছির

বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত করেছেন শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যেই এই দেশকে স্মার্ট ও উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। বাঙালি জাতির মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

Advertisement

চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে গরীর টিআইসি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় নাছির বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বলেন, এই ভাষণটি ছিল স্বাধীনতার বীজ বপনের মন্ত্রণা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য একটি সঠিক নির্দেশনা। তাই এই ভাষণটি ইউনেস্কো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রামাণ্য দালিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতা ও একটি জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতের জন্য লড়াই সংগ্রামের ডাক দেননি। তার মূল অভিপ্রায় ছিল বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার স্বীকৃত, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতির পরিপূর্ণ মুক্তি নিশ্চিত করা। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ৭১’র পরাজিত শক্তি দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নীলনকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্খা ও স্বপ্নপূরণ অসম্ভব হয় পড়ে এবং বাংলাদেশ পুনরায় পাকিস্তান ভাবধারায় নিমজ্জিত হয়। দীর্ঘ ২১ বছর বঙ্গবন্ধু তনয়া আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিবেদিত হয়ে বাঙালির লুণ্ঠিত অধিকার ও আকাঙ্খা পুনরুদ্ধারে নিবেদিত হন।

Advertisement

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য নঈম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এ.কে.এম বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আনসারুল হক, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম বাবুল, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, হাসান মাহমুদ শমসের, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, শহিদুল আলম, আবুল মনছুর, বখতেয়ার উদ্দিন খান, মোহাব্বত আলী খান, ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের হাজী সিদ্দিক আলম, কাজী আলতাফ হোসেন, মোমিনুল হক, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, এ.এস.এম ইসলাম, নুর মোহাম্মদ নুরু, সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ইসকান্দর মিয়া, আব্দুল আজিজ মোল্লা, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ ইকবাল হাসান, আব্দুল আজিম, আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন তপন, হাজী মোহাম্মদ হাসান, আব্দুস শুক্কুর ফারুকী, সাইফুল আলম বাবু, মিথুন বড়ুয়া, মাহাবুব কোম্পানী, দিদারুল আলম মাসুম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শেখ সরোয়ারদি, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, এরশাদ উল্লাহ, ইলিয়াস সরকার প্রমুখ।

ইকবাল হোসেন/এসএনআর/জিকেএস