আগামী শনিবার (৯ মার্চ) সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে কারো টাকা দিয়ে ভোট কেনা ও পেশিশক্তি ব্যবহারের প্রমাণ পেলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
Advertisement
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে কোনো সিসি ক্যামেরা থাকবে না। তবে সংবাদকর্মীরাই সিসি ক্যামেরা হিসেবে কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ছয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
জানা যায়, সিরাজগঞ্জে গত তিনটি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিবারই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। সবশেষ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পদত্যাগ করায় চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।
জেলার ৮৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৯টি উপজেলা পরিষদ ও ৭টি পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেবেন। জেলার ৯টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ১৯৬ জন প্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এ উপনির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান (মোটরসাইকেল), শাহজাদপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান (চশমা), কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেফাজ উদ্দিন (আনারস), মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শওকত আলী (হেলিকপ্টার) ও শামীম তালুকদার (জিপ গাড়ি)।
এম এ মালেক/এফএ/জিকেএস
Advertisement