আন্তর্জাতিক

বিচারপতি থেকে রাজনীতিবিদ

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির একটাও নেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তার বিচারপতির মেয়াদকাল শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগ দেবেন তিনি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিজেপির সল্টলেকের অফিসে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিহারের সাবেক মন্ত্রী মঙ্গল পান্ডের হাত থেকে বিজেপির ফ্ল্যাগ নিয়ে গেরুয়াশিবিরে যোগ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন> পদত্যাগ করেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা বিচারপতির পদত্যাগ করছেন বিচারপতি অভিজিৎ, রাজনীতিতে যোগদানের গুঞ্জন

বিজেপিতে যোগ দিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন সাবেক এই বিচারপতি। তিনি বলেন, আমি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিলাম। এমন একটি দল যার মাথায় নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা রয়েছেন। আমি দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। আজ আর বিশেষ কিছু বলার নেই। আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দলের বিদায় দেওয়া। যাতে ২০২৬ সালে আর তারা ক্ষমতায় আসতে না পারে। এই দুর্নীতিগ্ৰস্ত সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর লড়াই যাতে শুরু করা যায়, তার জন্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বিহারের সাবেক মন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে বলেন, গতকাল তাপস রায় ও আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যোগ দিলেন আমাদের বিজেপির পরিবারে। এতে আবার বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হলো। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সাবেক বিচারপতিকে স্বাগত জানাচ্ছি।

Advertisement

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছে, আগামী দিনে বিজেপি তাকে নির্বাচনে এবং অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করবেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

তবে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আমি এইটুকু বলবো যে রাজ্যের রাজনীতিতে এরকম একজনের প্রয়োজন ছিল। তিনি তার যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছিলেন তখন তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। তার কাজ করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। যোগদানের আগে তিনি অমিত শাহের আশীর্বাদ গ্রহণ করেছেন। রাজ্য থেকে পরিবারবাদী ও তোষণকারী সরকারকে উপড়ে ফেলতে পারবো আমরা।

ডিডি/এমএসএম

Advertisement