মূত্রনালির সংক্রমণ বা ইউটিআই এর সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, জ্বর জ্বর ভাব ইত্যাদি। অনেকেই এ লক্ষণ উপেক্ষা করেন। কেউ কেউ আবার ওষুধ কিনে নিজেই খেতে শুরু করেছেন।
Advertisement
চিকিৎসকদের মতে, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে সঙ্কোচবোধ করেন। তাই চট করে ডাক্তারের কাছে যেতে চান না।
তবে মূত্রনালির সংক্রমণ তো আর সাধারণ সর্দি-কাশি নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খাওয়া যায় না। তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে পর্যন্ত কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকাই যায়।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
Advertisement
মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে বা তেমন প্রবণতা দেখা দিলে শরীরে যাতে পানির ঘাটতি না হয়, সে বিষয় নজর রাখুন। প্রস্রাবের রঙের দিকেও নজর রাখুন।
সাধারণত প্রতি ৪-৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। খুব বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখবেন না, এতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন
• এনার্জি পেতে চা-কফির পরিবর্তে অভ্যাস করুন ৬ জিনিসের• তরুণদের মধ্যে কেন বাড়ছে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি?
Advertisement
ভিটামিন সি’যুক্ত ফল খান
পুষ্টিবিদদের মতে, মূত্রনালির সংক্রমণ হলে ভিটামিন সি আছে এমন ফল খাওয়া উচিত। এ ধরনের ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। যা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিক
এই সময় প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই প্রকার খাদ্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। দই, ঘোল, ছাঁচ, লস্যি খেলেও উপকার পেতে পারেন।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
মূত্রনালির সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল অপরিচ্ছন্নতা। প্রতিবার প্রস্রাব করার পর পানি দিয়ে গোপনাঙ্গ ধোয়া, ঘাম জমতে না দেওয়া, পরিষ্কার অন্তর্বাস পরার অভ্যাস করতে পারলে সংক্রমণ এড়িয়ে চলা যায়। তা ছাড়া গোপনাঙ্গে সুগন্ধযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার না করলেই ভালো।
ক্র্যানবেরির রস
মূত্রনালির সংক্রমণ রুখে দিতে পারে ক্র্যানবেরির রস। নিয়মিত এক গ্লাস এই ফলের রস খেতে পারলে মূত্রনালির দেওয়ালে ব্যাকটেরিয়া সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। তবে ক্র্যানবেরি খুব একটা সহজভ্য নয়। তাই বদলে আঙুর, কিশমিশ বা চেরি খাওয়া যেতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম