রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় ভর্তিকৃত প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের পর এখন ওইসব শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে এই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের প্রতিবেদন অ্যাফিডেভিট আকারে আদালতে উপস্থাপনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।
Advertisement
এর আগে ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। তার ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন• ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল
এরপর মাউশির ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে ৬ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মাউশির ওই আদেশ মতে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি। ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসব ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগিরই মাউশিকে অবহিত করার অনুরোধ করা হলো।
Advertisement
এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। বিষয়টি বুধবার আদালতকে অবহতি করেন ভিকারুননিসার আইনজীবী। এরপর আদালত আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান জানান, শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে এই রিট মামলায় ভর্তি বাতিল হওয়া ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে ৩৬ জন পক্ষভুক্তির আবেদন করেছেন।
এফএইচ/ইএ/এএসএম