দক্ষিণ ইয়েমেনে একটি পণ্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এতে তিন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। পণ্যবাহী জাহাজে হুথিদের হামলায় প্রথমবারের মতো মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। এর আগে বিভিন্ন জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটলেও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
বার্বাডোস-পতাকাযুক্ত ট্রু কনফিডেন্স নামের ওই পণ্যবাহী জাহাজটিতে হামলার পর আগুন ধরে যায়। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এডেন উপকূলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ১১টার দিকে ওই জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়।
হুথিরা শুরু থেকেই বলে আসছে যে, গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যকার সংঘাতে তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল সেখানে সংঘাত থামাবে না ততদিন পর্যন্ত তারা জাহাজে হামলা বন্ধ করবে না। ফিলিস্তিনিদের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করতেই তারা একের পর এক ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে অপারেশন তত্ত্বাবধান করা মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলছে, তিন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন এবং অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, হুথিদের এই বেপরোয়া আক্রমণ বিশ্ব বাণিজ্যকে ব্যাহত করছে এবং আন্তর্জাতিক নাবিকদের জীবন নিচ্ছে।
Advertisement
এক বিবৃতিতে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ট্রু কনফিডেন্সের ক্রুরা হুথি নৌবাহিনীর সতর্কতা উপেক্ষা করেছে। এদিকে ইয়েমেনে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস বলছে, জাহাজে হামলার ঘটনা হুথিদের হামলার অনিবার্য পরিণতি। তাদের এই আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
গাজায় অপুষ্টি-পানিশূন্যতায় আরও ১৫ শিশুর মৃত্যু গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় মারা গেলো ২ মাসের শিশু উত্তর গাজায় ৬ শিশুর মৃত্যু, অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনকএর আগে মার্কিন এবং ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানান, জাহাজে হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। ওই জাহাজে ২০ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে একজন ভারতীয়, চারজন ভিয়েতনামের এবং ১৫ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। এছাড়া দুজন শ্রীলঙ্কান ও একজন নেপালি সশস্ত্র প্রহরীও ওই জাহাজে অবস্থান করছিলেন।
টিটিএন
Advertisement