আন্তর্জাতিক

মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন নির্যাতনের শিকার নারীরা

সন্দেশখালিতে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীরা চাইলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বন্দোবস্ত করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন পশ্চিবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন তিনি। সন্দেশখালির ৫ নির্যাতিত নারীর সঙ্গে দেখা করলেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

বারাসাতের কাছারি ময়দানের সভা শেষে মঞ্চের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ওই নারীরা। সেসময় সন্দেশখালির সাবেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান ও তার ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তারা। মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আবেগাল্পুত হয়ে পড়েন এই নারীরা।

কথা বলার সময়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের সবার নাম-ঠিকানা জানতে চান। সেই সঙ্গে শেখ শাহজাহান ও তার ভাই সিরাজউদ্দিন কীভাবে তাদের উপর নির্যাতন চালাতেন, তা বিস্তারিতভাবে শোনেন। সাক্ষাতের সময় রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান নারীরা।

বারাসাতের কাছারি ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় নারীদের উপস্থিতি

Advertisement

নরেন্দ্র মোদীর পাশে থাকা এক কর্মকর্তা নারীদের সব অভিযোগ লিখে নেন। শাহজাহান ও সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির নারীরা যেভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন, সেই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, আপনারাই (নির্যাতনের শিকার নারীরা) তো দুর্গা। আমি আপনাদের পাশে আছি।

শাহজাহান কাণ্ডে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলকে নিশানা করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক নারীদের উপর অত্যাচার করে ঘোর পাপ করেছে তৃণমূল। বিজেপি সরকার ধর্ষণের অপরাধীদের ফাঁসির ব্যবস্থা করছে। কিন্তু তোষণ আর তোলাবাজদের চাপের কারণে তৃণমূল নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

‘উল্টো তৃণমূল সরকার ধর্ষণের অপরাধীদের রক্ষা করছে। যদিও এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে তারা বড় ধাক্কা খেয়েছে। সন্দেশখালির এই ঝড় এখন বাংলার প্রতিটি কোণে কোণে পৌঁছে যাবে।’

রেশন দুর্নীতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ইডির) কঠোর নজরদারিতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি তার বাড়িতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইডির কর্মকর্তারা। তারপর থেকেই শিরোনামে শেখ শাহজাহান। তৎকালীন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দফায় দফায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিঘা বিঘা জমি ও মাছের ঘের লুটের অভিযোগ রয়েছে। আবার ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় নারীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। দলীয় কার্যালয়েই করা হতো হেনস্তা। পরে নারীদের তীব্র বিক্ষোভের মুখে ফেব্রুয়ারির শেষে গ্রেফতার হন শাহজাহান।

ডিডি/এসএএইচ