বগুড়ার শেরপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রী।
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর বালাপাড়া গ্রামে ওই বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। আর এই খবর পেয়েই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিমে সেখানে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে কনের বাড়িতে না এসে ফিরে যায় বরপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের তরিকুল ইসলামে মেয়ে মহিপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী রামেশ্বরপুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছিল পরিবারের লোকজন। গোপনে বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম। এমনকি সরেজমিনে ওই বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন দেখতে পান। পরে এই বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে জানিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। সেইসঙ্গে বাবা ও মায়ের কাছে মুচলেকা নেন।
এসময় তাকে সহযোগিতা করেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সুবির কুমার পাল, গাড়িদহ মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তবিবর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী, শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেনসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
Advertisement
এ বিষয়ে এসএম রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে মেয়ে বিয়ে দেওয়া বেআইনি। অথচ মাত্র ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। মেয়েটি কেবল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না- মর্মে মেয়ের বাবা-মায়ের কাছে থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।
এনআইবি/জিকেএস
Advertisement