দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোথাও ইলেকশন যেভাবেই হোক, ফলাফল একটা পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং শিট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদেরের এমন বক্তব্যে সংসদে তুমুল হট্টগোল হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্যরা ব্যাপকভাবে এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকলে জিএম কাদের হেসে বলেন, এটা নাও হতে পারে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে জিএম কাদের নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য শুরু করতেই অধিবেশন কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্যে এ হট্টগোল বাড়তে থাকে।
সরকারি দলের সদস্যরা মাইক ছাড়াই নানান মন্তব্য করতে থাকেন। বিরোধী দল জাতীয় পাটির সদস্যরাও পাল্টা মন্তব্য করতে থাকেন।
Advertisement
এ পরিস্থিতি সংসদ অধিবেশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্যদের শান্ত হওয়ার জন্য একাধিকবার আহ্বান জানান। পরে জিএম কাদের বক্তব্য শেষ করেন।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সব দল নির্বাচনে এলে এবং বাধা ছাড়াই ভোট হলে ১৫ শতাংশ ভোট গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ সব বড় দল নির্বাচনে অংশ নিলে এ মুহূর্তে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়বে। আওয়ামী লীগ বিএনপির একটি দল না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা কঠিন। এতে মানুষ ভোট দিতে আসে না।
তিনি আরও বলেন, যে প্রেক্ষাপট ছিল তাতে ৪২ শতাংশ ভোট দিতে গেলে সব ভোটকেন্দ্রের সামনে ৮ ঘণ্টা লাইন থাকার কথা। কিন্তু তা ছিল না।
এসময় সংসদ সদস্যরা হইচই শুরু করেন।
Advertisement
এছাড়াও দুর্নীতিসহ নানান ইস্যুতে বক্তব্য দিলে জিএম কাদেরকে উদ্দেশ্য করে হইচই করেন সংসদ সদস্যরা।
আইএইচআর/এমএইচআর