খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ আজকের স্বপ্ন, কিন্তু এটি আগামীর বাস্তবতা। আমরা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছি। এ উন্নয়ন প্রক্রিয়া আরও পরিকল্পিত ও সমন্বিত হওয়া প্রয়োজন।’
Advertisement
খুলনায় অনুষ্ঠিত অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে নগর পরিকল্পনার ভূমিকা নিয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভাকক্ষে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নগর গড়তে স্মার্ট পরিকল্পনার ভূমিকা অনেক। এজন্য সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং আবাসিক এলাকার স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট শহর গড়তে কার্যকর পরিকল্পনা ও নাগরিক সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি নগর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বিদ্যমান নীতির প্রয়োগ, মনিটরিং বৃদ্ধি করা দরকার। একই সঙ্গে নগর পরিকল্পনা ও বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কাজ করা দপ্তরগুলোর কাজের সমন্বয় থাকতে হবে।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র প্ল্যানার প্রভাষ চন্দ্র কুণ্ডুর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের উপপরিচালক (ভৌত পরিকল্পনা) জাহাঙ্গীর আলি।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেওয়া আলোচকরা জানান, স্মার্ট শহর গড়তে সরকার, অর্থনীতি, পরিবেশ, পরিবহন ব্যবস্থা, নাগরিক ও নাগরিকের জীবনমান স্মার্ট হতে হবে। নগর উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। আধুনিক শহরের জন্য অনেক পূর্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু নির্মাণকাজের সময় যাতে পরিবেশ দূষণ না হয় সে জন্যও কাজ করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিভাগের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নগরের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া সেমিনারে নগর বিষয়ক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের খুলনা চ্যাপ্টারের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন।
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নগর পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অংশ নেন।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এনআইবি/এমএস