ঢাকার বেইলি রোডের বিভিন্ন আবাসিক ভবনে গড়ে তোলা রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এসময় নবাবী ভোজ ও সুলতান’স ডাইন নামে দুটি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেয় সংস্থাটি।
Advertisement
নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁটি বেইলি রোডের একিউআই শপিং মলের বেইজমেন্টে অবস্থিত। অভিযানের সময় রেস্তোরাঁর কেউ ছিলেন না। এটি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে করা হয়েছে বলে জানান রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে এ অভিযান চলে।
অপরদিকে সুলতান’স ডাইনের বিষয়ে রাজউকের কর্মকর্তারা জানান, রেস্তোরাঁটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তবে তারা দাবি করেছেন, তাদের সব কাগজপত্র আছে। তাই আপাতত রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ, সাততলা ভবন সিলগালা
Advertisement
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অভিযানে এসেছেন তারা। রেস্তোরাঁগুলোয় আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রেস্তোরাঁয় আগুন জ্বালিয়ে খাবার রান্না করা হয়, গ্যাসের ব্যবহার হয়। সেজন্য আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কি না দেখছি। পাশাপাশি অন্যান্য নিয়ম মানা হচ্ছে কি না সেটিও দেখা হচ্ছে। নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁ আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে করা হয়েছে। এজন্য সিলগালা করে দিয়েছি।
এদিকে অভিযানে বেইলি রোডের ক্যাপটাল সিরাজ সেন্টার নামের একটি ভবনের অগ্নিসুরক্ষার ছাড়পত্র হালনাগাদ না করায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁয় অভিযানকে একটু বাড়াবাড়ি বললো মালিক সমিতি
Advertisement
ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার ভবনটির পরিচালক সারফুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সবকিছু ঠিক আছে। শুধু ফায়ারের ছাড়পত্র এখনো পাইনি।
রাজধানীর অনিরাপদ ভবন নিয়ে রাজউকের ঘুম কবে ভাঙবে জানতে চাইলে রাজউকের অঞ্চল-৭-এর পরিচালক মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, রাজউক ঘুমিয়ে নেই। এর আগেও রাজউক নিয়মিত অভিযান চালিয়েছে। হয়তো সেটা গণমাধ্যমের চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন: ভবনে রেস্তোরাঁর অনুমোদন নিয়ে পরস্পরকে দুষছে ডিএসসিসি-রাজউক
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আগুনের ঝুঁকি ও অনুমোদন না থাকার পরও ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল বছরের পর বছর ধরে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সেখানে খেতে ভিড় করেছিলেন নগরের বাসিন্দারা। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে রাজউক। ভবনের নকশা ও অনুমোদনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
এমএমএ/জেডএইচ/এমএস