বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত বুড়িগঙ্গা: নিরুদ্ধ নদীর পুনরুদ্ধার শীর্ষক গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
Advertisement
দৃক পিকচার লাইব্রেরি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ক্যাপস, রিভারাইন পিপল, বেলা, দ্য ডেইলি স্টার, পিপিআরসির অংশগ্রহণে এই গবেষণাটি করা হয়।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী ও নদীনির্ভর জনগোষ্ঠী, তথ্যসমৃদ্ধ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার, বিশেষজ্ঞমহলের সাক্ষাৎকার এবং গবেষকদলের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই গবেষণা প্রতিবেদনের শেষাংশে সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
পাঁচ সুপারিশ:
Advertisement
১. বুড়িগঙ্গা নদী প্রবাহের প্রকৃত দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা চিহ্নিত করতে হবে। এর অববাহিকা নির্ধারণ ও ঘোষণা করতে হবে। এর ঐতিহাসিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে।
২. বুড়িগঙ্গার ভরাট, দখল, শুকনো ও হারিয়ে যাওয়া অংশ দখল উচ্ছেদ ও খননের মাধ্যমে নদীপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রবাহমান অংশের তীরবর্তী দখল উচ্ছেদের পর তা স্থায়ী করতে নজরদারি ও তদারকি প্রয়োজন।
৩. নাগরিক ও শিল্প বর্জ্যের উৎসগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে হয় বন্ধ, না হয় ইটিপি স্থাপন করতে হবে।
৪. জ্ঞান ও তথ্যভিত্তিক নদী আন্দোলন, সাংবাদিকতা ও প্রচারণা প্রয়োজন।
Advertisement
৫. বুড়িগঙ্গা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনিয়ম ও সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে; দক্ষতা, আন্তরিকতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক শেখ রোকন। প্রধান ছিলেন ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম, আলোচক হিসেবে ছিলেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ। ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আরএএস/এমআরএম/জেআইএম