বাংলাদেশের সীমান্তে হত্যাকাণ্ডে দুই পক্ষেরই দোষ থাকে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদেরও দোষ, বর্ডারের ওই পাশের ওদেরও দোষ।’
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘ক্রস বর্ডার কিলিং তো! এটা আসলে কোনো পরিকল্পিত কিছু না। এক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দোষ থাকে। আমাদেরও দোষ, বর্ডারের ওই পাশের ওদেরও দোষ।’
‘এটা কিলিং না কিন্তু ইন্সিডেন্ট বলতে পারেন। এই যে এখানকার স্মাগলাররা যায়। স্মাগলাররা কতটা সাহসী...আমার মনে হয় মাঝে মাঝে এদের আর্মিতে রিক্রুয়েড করে নেই। কারণ এরা আসলেই এত রিস্ক নিয়ে যায়, আমি জানি যত ইন্ডিয়ান বিএসএফ রীতিমতো আমাদের স্মাগলারদের ভয় পায়।’
Advertisement
আরও পড়ুন• ৭ জানুয়ারি ‘ফেলানী হত্যা দিবস’ পালনের আহ্বান• চার বছরে সীমান্ত হত্যা ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ• পাকিস্তান সীমান্তেও এভাবে মানুষ হত্যা করে না ভারত• সীমান্তে মানুষ হত্যা গ্রহণযোগ্য নয় : বিজিবি মহাপরিচালক
তিনি বলেন, অনেক সময় তারা আক্রমণ করে বসে বিএসএফকে তখন গুলি করতে বাধ্য হয়। আমাদের তরফ থেকেও যেমন গুলি হয় মাঝে মাঝে। বর্তমানে বর্ডার হাটের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আগুন লাগলো, এটা কী আপনারা ষড়যন্ত্র হিসেবে নিচ্ছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটাই আমি বলেছি ডিসি সাহেবদের। উনারাই তো করে (খতিয়ে দেখা)। আমরা এসব ব্যাপারে ইনভলডড হই না, আমরা শুধু উদ্ধার কাজে ইনভলবড হই। ওই যে খুঁজে বের করা, খতিয়ে দেখা, উড়িয়ে দেওয়া যায় না, এত কাকতালীয় ব্যাপার, এত ফটাফট করে একটার পর একটা হয়ে যাবে, যদিও ওই সিজনটা ওরকমই, এই সিজন ড্রাই সিজন। সেজন্যই সাধারণত হয়।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, তবু এটা দেখা উচিত। খতিয়ে দেখা মানে কি এটা ষড়যন্ত্রের জন্য শুধু না, যে শিথিল জায়গাগুলো আছে, ওগুলোকে শক্ত করা, যেন ওটা আর না হতে পারে।
Advertisement
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন অবস্থা আমাদের খুবই ভালো।’
আরএমএম/এমআরএম/জিকেএস