চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চিনি কারখানায় লাগা আগুন নির্বাপণ কাজে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট। তবে চিনির কাঁচামালের গুদামটিতে এখনো আগুন জ্বলছে।
Advertisement
সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে বিকেলে ৩টা ৫৩ মিনিটে স্থানীয় পাঁচটি ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট শুরু থেকে কাজ করছে। পরে তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট যোগ দিয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন>>এস আলম চিনি মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিটওয়ারীতে পেশওয়ারাইন রেস্টুরেন্টে আগুনধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ১২ রেস্তোরাঁ সিলগালাবেইলি রোডের আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু
আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়, এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশনের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। বাতাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক জাগো নিউজকে বলেন, মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল, যা পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়। অগ্নিদগ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এমডিআইএইচ/এমকেআর/এমএস