দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দালালবিরোধী অভিযান পরিচালন করে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব। অভিযানে দালাল চক্রের ৫৮ সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
র্যাব বলছে, ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগীদের জিম্মি করে দালালরা টাকা হাতিয়ে নিত। চক্রের সঙ্গে জড়িত হিসেবে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও বেশকিছু স্টাফের নাম র্যাবের হাতে এসেছে। ঢামেকে প্রায় দুইশো দালাল রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত রোগীদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢামেক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দালালবিরোধী অভিযান শেষে এসব কথা বলেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন>>ঢামেকে র্যাবের অভিযানে বেশ কয়েকজন দালাল গ্রেফতার
Advertisement
তিনি বলেন, র্যাব-৩ এর আভিযানিক দল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দালালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে প্রায় ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দালালরা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীদের জিম্মি করে বেসরকারি মেডিকেলে নিয়ে যেতো।
এছাড়া ঢামেকে রোগীদের শয্যা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিতো চালাল চক্র।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ও অসহায় রোগীদের জিম্মি করে এসব দালাল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে সবগুলো মেডিকেল কলেজে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হবে, যেন সাধারণ নাগরিক কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দালালদের বরাত দিয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক জানান, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও বেশকিছু স্টাফদের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। হাসপাতালের যে আইন রয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
Advertisement
দালাল চক্রের সঙ্গে কোনো চিকিৎসক জড়িত কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢামেক হাসপাতালে দালাল চক্রের সদস্য সংখ্যা কত জানতে চাইলে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালে দেড় থেকে দুইশো দালাল রয়েছে। তারা প্রতিদিন অসহায় রোগীদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
টিটি/এমকেআর/জিকেএস