গত বছরের জুনে নেওয়া তেল উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কার্যকর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব ও রাশিয়া। এরপর থেকে দুই দেশের তেলের উত্তোলন স্বাভাবিক হতে পারে। রোববার (৩ মার্চ) পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় দেশ দুটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
Advertisement
রোববার প্রথমে রুশ জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানায়, ২০২৩ সালের জুন মাসে জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন ৫ লাখ ব্যারেল (এক ব্যারেল= ১৫৯ লিটার) হ্রাস করার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল মস্কো, তা এই বছরের জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
রুশ মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পর বিবৃতি দিয়ে একই সিদ্ধান্তে কথা জানায় সৌদির জ্বালানি তেল বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারা বলে, আমরা আশা করছি , এই সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেলের বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আর যদি ভালো কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে অবস্থা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
Advertisement
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ফলে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম কয়েক মাসে হু হু করে বাড়তে থাকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়ামের দাম।
একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়তে থাকায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জ্বালানি তেল ক্রয় কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয়। লোকসানের শিকার হতে থাকে তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলো।
ওই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক প্লাসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাশিয়া। সে সময় এক বিবৃতিতে রাশিয়া জানিয়েছিল, এখন থেকে প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে দেশটি।
আরও পড়ুন:
Advertisement
রাশিয়ার ওই ঘোষণার এক মাস পর নিজেদের দৈনিক তেলের উত্তোলন ১ কোটি ব্যারেল থেকে ৯০ লাখে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় জোটের নেতৃস্থানীয় সদস্য সৌদি আরব। তারপর ওই বছরের এপ্রিলে এক বৈঠকে ওপেক প্লাস জোটের বাকি ১২টি সদস্যরাষ্ট্রও তেলের দৈনিক উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২৩ সালের জুন মাস থেকে জোটগতভাবে তেলের দৈনিক উত্তোলন ২২ লাখ ব্যারেল হ্রাস করে ওপেক প্লাস। এই সিদ্ধান্তের ফলে ধীরে ধীরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার চাঙা হতে শুরু করে। গত সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম দুই শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ