বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় তিন গ্রামে হামলা চালিয়ে অন্তত ১৭০ জনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এক সপ্তাহ আগে এ হামলা হলেও গত রোববার (৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আঞ্চলিক পাবলিক প্রসিকিউটর আলি বেঞ্জামিন কুলিবালি এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের কমসিলগা, নোদিন এবং সোরো গ্রামে হামলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তিনি। সেখানে আনুমানিক ১৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলীয় শহর উয়াহিগুয়ার প্রসিকিউটর পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন এবং বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় তার অফিস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং জনগণকে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েক ডজন নারী ও শিশু রয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগে উত্তর বুরকিনা ফাসোর একটি মসজিদ ও একটি গির্জায় প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল। তবে সেটি এবং তিন গ্রামে হামলা আলাদা ঘটনা বলে জানিয়েছে স্থানীয় নিরাপত্তা সূত্রগুলো।
মসজিদ ও গির্জায় হামলার ঘটনায় কতজন প্রাণ হারিয়েছিলেন, সেই সংখ্যা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আরও পড়ুন>>
বুরকিনা ফাসোর নাগরিকরা কেন প্রেসিডেন্টের প্রতি অসন্তুষ্ট? পশ্চিম আফ্রিকায় একের পর এক অভ্যুত্থান, দায় কি পশ্চিমাদের? উগান্ডার মানুষ এত সুখী কেন?সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উগ্রবাদী হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ বুরকিনা ফাসো। আল-কায়েদা এবং আইএস সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহীরা আফ্রিকান দেশটিতে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
এই সহিংসতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি।
নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতায় জনমনে সৃষ্ট ক্ষোভ ২০২২ সালে দেশটিতে দুটি সামরিক অভ্যুত্থানে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। বুরকিনা ফাসোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভিকেএএ/