মানিকগঞ্জ সদরে বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশীয় মদ পানে অসুস্থ হয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
শনিবার (২ মার্চ) দিনগত রাতে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীপু সরকার (২৯) ও মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রসেনজিৎ সরকার (২১) নামের ওই দুই যুবক মারা যান।
দীপু সরকার গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে এবং প্রসেনজিৎ সরকার হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে। প্রসেনজিৎ দীপুর বড় বোনের ছেলে। তার বাবা-মা বেঁচে নেই।
স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুর গ্রামে মামাতো বোনের বিয়েতে আসেন দীপু সরকার। শুক্রবার (১ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে সেখানে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে দেশীয় মদ পান করেন দীপু ও প্রসেনজিৎসহ কয়েকজন যুবক। শনিবার সকালের দিকে অসুস্থ হয়ে যান দীপু ও প্রসেনজিৎ। শনিবার সন্ধ্যায় প্রসেনজিৎকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। পরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রসেনজিতের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দীপুকে মৃত ঘোষণা করেন। দীপুর মামাতো ভাই সঞ্জয় বৈরাগী জানান, তার বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাদের বাড়িতে গায়েহলুদে কয়েকজন দেশীয় তরল কিছু (মদ) খেলে ৬-৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীপু ও তার ভাগনে প্রসেনজিৎ শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন
Advertisement
হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদা নাজনীন বলেন, প্রসেনজিৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে চেকআপ করে তার পালস খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করে দেই।
দেশীয় মদ পানে মৃত্যু হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, প্রসেনজিতের সুরতহাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া হরিরামপুর থানা দেখবে।
স্থানীয়দের বরাতে হরিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবুর রহমান বলেন, হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে মদ পানে দুজন মারা গেছেন। এরমধ্যে একজন হরিরামপুরের, আরেকজন গাজীপুরের। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Advertisement
বি.এম খোরশেদ/এসআর/জিকেএস