আইন-আদালত

সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগ নিয়ে করা রিটের রায় ১০ মার্চ

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান–২ নম্বরে অবস্থিত বাড়ি নিয়ে করা রিটের ওপর আগামী ১০ মার্চ রায়ের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

এ সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আইনজীবী অনীক আর হক, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ (এম) সাঈদ আহমেদ, রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আফিফা বেগম।

আবদুস সালাম মুর্শেদী সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার। রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

Advertisement

এরপর রাজউক নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে প্রশ্ন ওঠা ওই ভূমি বা প্লটের চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা), দখল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে পক্ষগুলোকে হলফনামা (এফিডেভিট ইন অপজিশন) দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে দুদককে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুদকের আইনজীবী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর বাড়িটি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বাড়িটির বিষয়ে জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষীর ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।

আগের ধারাবাহিকতায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই বাড়ির (ভূমি বা প্লটের মালিকানা হস্তান্তর) পরম্পরার তথ্য আদালতে তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী। ২৯ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন পক্ষগুলোর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ সংক্রান্ত রুল শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

Advertisement

এফএইচ/ইএ/জেআইএম