দেশজুড়ে

স্ত্রী-সন্তানসহ শাহ জালালের মরদেহ গ্রামের বাড়ি, স্বজনদের আহাজারি

রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে নিহত শাহ জালাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা এলাকায় পৌঁছেছে।

Advertisement

শনিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের বহন করা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রামুর ফতেখাঁরকুলস্থ শাহ জালালের শ্বশুরবাড়ি এসে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়। অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি উঠেছে আকাশ। তাদের একনজর দেখতে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী ভিড় করেন।

রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহ জালালদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার নিজ গ্রামের বাড়ি উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যার উদ্দেশ্যে রামু ত্যাগ করে।

আরও পড়ুন>>পোশাক দেখে স্ত্রী-কন্যাসহ কাস্টমস কর্মকর্তার মরদেহ চিনলো পরিবার

Advertisement

নিহত মেহেরুন নেসা হেলালীর বাবা রামুর ফতেহারখুলের শ্রীকুল এলাকার বাসিন্দা মোক্তার আহমেদ হেলালী জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত জামাই, মেয়ে ও নাতনির মরদেহ নিয়ে শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বজনরা।

পরিবার সূত্র জানায়, রোববার (৩ মার্চ) বেলা ১১টায় মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহতদের জানাজার নামাজ ও পরে স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী মিনা (২৪) এবং মেয়ে ফাহিরুজ কাশেম জামিলাকে (০৪) নিয়ে খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য গ্রিনলাইন বাসের টিকিট কাটেন শাহ জালাল (৪০)। ডিনার শেষ করেই তাদের বাসে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু রাতে বেইলি রোডের ওই ভবনে ডিনার করতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী-সন্তানসহ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন।

শাহজালাল ৩৫তম বিসিএস (নন ক্যডার) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ব্যাচ১৭) হিসেবে নারায়ণগঞ্জ কাস্টমস অফিসের রেভিনিউ কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/এমকেআর