মিডল অর্ডার কাম থার্ড সিমার হিসেবে সাইফউদ্দিন হতে পারতেন ভাল বিকল্প। এবারের বিপিএলে বেশ ভাল বল করেছেন তিনি। ফরচুন বরিশালের হয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভাল বোলিং করেছেন।
Advertisement
বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বরিশাল অধিনায়ক তামিম প্রেস কনফারেন্সে প্রকাশ্যে বলেছেন, সাইফউদ্দিনের অন্তর্ভুক্তিতে বরিশালের চেহারা পাল্টে গেছে। ইনজুরি কাটিয়ে সাইফউদ্দিন কতটা কি করতে পারবেন- সে সংশয়ও ছিল; কিন্তু আমরা রীতিমত ঝুঁকি নিয়ে ক্রিকেট গ্যাম্বল করে সাইফউদ্দীনকে দলে নিয়েছি।
সাইফউদ্দীনও সুযোগ পেয়ে নিজের যথার্থতার প্রমাণ দিয়েছে। সে দুর্দান্ত বোলিং করে বরিশালের সাফল্যে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। বিপিএলে ৯ ম্যাচে সাইফউদ্দীনের ঝুলিতে জমা পড়েছে ১৫ উইকেট। প্রায় প্রতি ম্যাচে মাপা বোলিং করা সাইফউদ্দিন ভাইটাল ব্রেক থ্রু আনার কাজটি দক্ষতার সাথে পালন করেছেন।
ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ভয়ঙ্কর উইলোবাজ আন্দ্রে রাসেলের বিপক্ষে শেষ ওভারে তিনটি ওয়াইড আর এক নো বল করার পরও মাত্র ৭ রান দিয়ে দারুন কার্যকরিতার ছাপ রাখেন সাইফউদ্দিন। ভাবা হচ্ছে, কুমিল্লার স্কোরলাইন বরিশালের নাগালের ভিতরে রাখতে শেষ ওভারে তার ভূমিকা ছিল বিরাট।
Advertisement
কারন শেষ ওভারের আগে আন্দ্রে রাসেল মাত্র ৮ বলে ৪ বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে রিতিমত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন। অনেকেরই মনে শঙ্কা জেগেছিল, সেই ডেভিড মিলারের এক ওভারে ৫ ছক্কা হজমের পর আজ (শুক্রবার ১ মার্চ) বুঝি আবার আন্দ্রে রাসেলের ছক্কা বৃষ্টিতে ভেসে যাবেন সাইফউদ্দিন!
কিন্তু না। চারটি চারটি অতিরিক্ত ডেলিভারি ছোঁড়ার পরও সাইফ একটি আলগা বলও করেননি। ইয়র্কার লেন্থের বল থেকে ছক্কা মারা বহুদুরে, একটি বাউন্ডারিও হাঁকাতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল।
এমন এক ফর্মে ফেরা পারফরমারকে কেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিবেচনায় আনা হলো না? প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে সে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখ অবশ্যই সাইফউদ্দিনের দিকে আছে। আমরা তার ব্যাপারে চিন্তা যে করিনি, তা নয়।’
তাহলে এমন ফর্ম থাকতে সাইফউদ্দীনের কথা তারা মাথায় আনেননি কেন? লিপুর ব্যাখ্যা, ‘সাইফউদ্দীন ইনজুরিপ্রবন। মাঝে মধ্যেই ৪-৫ ম্যাচ খেলার পর তার ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড আছে। তাকে দলে নেয়া মানে একটা আনস্টেবল প্লেয়ারকে সুযোগ দেয়া। আমরা চাই না একজন আনস্টেবল প্লেয়ারকে দলে এনে টিমকে আনসেটেল্ড করে দিতে।’
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস