ধর্ম

বিড়ালের মুখ দেওয়া পানি কি নাপাক?

বিড়ালের মুখে কোনো নাপাকি লেগে না থাকলে বিড়ালের মুখ দেওয়া পানি নাপাক হবে না। কেউ যদি বিড়ালে মুখ দেওয়া পানি দিয়ে অজু করে নামাজ পড়ে, তার অজু ও নামাজ শুদ্ধ হবে। ইকরিমা (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি আবু কাতাদা আনসারিকে (রা.) দেখেছেন বিড়ালকে পানি পান করার জন্য পানির পাত্র কাত করে দিয়েছেন। বিড়ালটি পানি পান করার পর অবশিষ্ট পানি দিয়ে অজু করেছেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৩৪৬)

Advertisement

তবে অন্য পানির ব্যবস্থা থাকলে বিড়ালে মুখ দেওয়া পানি দিয়ে অজু-গোসল করা মাকরুহে তানজিহি বা কিছুটা অপছন্দনীয় কাজ। নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে অজু করতে অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৩৪০)

বিড়াল গৃহপালিত আদুরে প্রাণী। আমাদের দেশে অনেকেই বিরাট পালন করেন। মানসিক চাপ কমানো, ঘর ইঁদুরমুক্ত রাখাসহ বিড়াল পালার কিছু উপকারিতাও রয়েছে। ইসলামে বিড়াল পালা জায়েজ। অনেক সাহাবি বিড়াল পালতেন বলে বর্ণিত রয়েছে। শর্ত হলো বিড়ালের যথাযথ যত্ন নিতে হবে, খাবার দিতে হবে। অনাহারে রাখা যাবে না। হাদিসে এসেছে, বনি ইসরাইলের এক নারী বিড়ালকে খাবার না দিয়ে আটকে রাখার কারণে জাহান্নামে গেছে। (সহিহ মুসলিম: ৫৭৪৫)

ওএফএফ/জেআইএম

Advertisement