দেশজুড়ে

মা-মেয়ের স্বপ্ন পুড়ল বেইলি রোডের আগুনে

স্বপ্নের দেশ পোল্যান্ড যাওয়া হল না মা-মেয়ের। আগুন তাদের স্বপ্ন শেষ করে দেয়। পোল্যান্ড প্রবাসী স্বামী শুক্রবার রাতের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে তাদের পোল্যান্ডে চলে যাওয়ার কথা ছিল ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী বিভাঙ্কা ও তার মা ফিলিপাইন নাগরিক রুবি রায়ের।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৩১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে রাতের খাবার খেতে যান মা-মেয়ে। মুহূর্তের তাদের স্বপ্নের মৃত্যু হয়।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) এ কে এম ফয়সাল জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। তবে বিষয়টি কেউ আমাকে অবগত করেনি। তাদের বাড়ি সম্পর্কেও আমি অবগত নই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মাধবপুর উপজেলার বানেস্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা ইন্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড প্রবাসী। তার স্ত্রী রুবি রায় ও মেয়ে ভিয়াঙ্কা রায় ঢাকায় বসবাস করতেন। পোল্যান্ডে স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এরমধ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেন মা-মেয়ে। শুক্রবার রাতে উত্তম রায়ের পোল্যান্ড থেকে দেশে এসে স্বজনদের সঙ্গে কিছুদিন থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পোল্যান্ড যাওয়ার কথা। পূর্বপ্রস্ততি অনুযায়ী মা-মেয়ে বাসা থেকে কেনাকাটা করতে বের হন। রাতের খাবার খেতে তারা বেইলি রোডের একটি হোটেলে যান। সেখানে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তের সব শেষ হয়ে যায়।।

Advertisement

উত্তম রায়ের বড় ভাই বিষ্ণু রায় বলেন, আমার ভাই ইন্জিনিয়ার। ১৯৯৬ সালে হুন্দাই কোম্পানিতে কোরিয়ায় চাকরি করতেন। তখন ফিলিপাইন নাগরিক রুবির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এরপর থেকে রাজধানীর মালিবাগে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা। তাদের সংসারে এক মেয়ে এক ছেলের জন্ম হয়। এরপর দুই বছর আগে উত্তম রায় পোল্যান্ড যান। কিছুদিনের মধ্যে পরিবার নিয়ে পোল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল তার।

তিনি আর ওজানান, বৃহস্পতিবার রাতে মা-মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে বেইলি রোডের হোটেলে খাবার খেতে যান। এরমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে মা-মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। এটা পরিবারের জন্য ট্রাজিডি। খবর পাওয়ার পর স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সৎকারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/এমএস

Advertisement