রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ কোটার জন্য ৫৩৪টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ কোটায় বরাদ্দ ছিল ৫৩৭টি আসন। তার আগে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ছিল ৬২১টি আসন। এবার বিশেষ কোটায় আসন কিছুটা কমানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, এবছর ভর্তি পরীক্ষায় কোটাবাদে আসন রয়েছে তিন হাজার ৯০৪টি। কেবল কোটাতেই বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট আসনের প্রায় ১৪ শতাংশ।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য আসন রয়েছে ৬১টি (প্রতিটি বিভাগ/ইনস্টিটিউটে দুটির বেশি নয়), শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ১২২টি (প্রতিটি বিভাগ/ইনস্টিটিউটে দুটির বেশি নয়) এবং মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা, নাতি/নাতনিদের জন্য প্রতি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে আসন সংখ্যার পাঁচ শতাংশ আসন। আর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পুত্র/কন্যাদের জন্য প্রতি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যার চার শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মাত্র ১৯ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন এক শিক্ষার্থী। সেইসঙ্গে বিশেষ বিবেচনায় পোষ্য কোটায় দুজন ছাড়াও খেলোয়াড় কোটায় তিনজনসহ মোট পাঁচ ভর্তিচ্ছুকে রাবিতে পড়ার সুযোগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ফেল করেও ৭১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ফেল করেও শুধু পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন ৪৩ শিক্ষার্থী।
তবে নির্ধারিত পাস মার্কের চেয়ে কম পাওয়া কোনো শিক্ষার্থীকে কোনোক্রমেই ভর্তি নেওয়া হবে না বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, গতবছরেও কিন্তু আমরা নির্ধারিত পাস মার্ক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেইনি। এবারও সেই নিয়ম অব্যাহত থাকবে। পাস করেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করতে হবে।
Advertisement
মনির হোসেন মাহিন/এসআর/এএসএম