জাতীয়

পুড়ে যাওয়া ভবনের পাশের কেএফসি-পিৎজা হাটে ক্রেতাশূন্য

রাজধানীর বেইলি রোড অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় একটি সড়কের নাম। এ সড়কের দু’পাশ দিয়ে রয়েছে জনপ্রিয় সব রেস্টুরেন্ট ও শপিংমল। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার ও শনিবারসহ প্রায় প্রতিদিনই মানুষের ভিড় থাকে বেইলি রোডে। তবে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে একটি ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এ ঘটনার পর বেইলি রোড এখন জনশূন্য। কিছু মার্কেট খুললেও বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ মার্কেট। আর পুড়ে যাওয়া ভবনের পাশের কেএফসি-পিৎজা হাটে ক্রেতাশূন্য।

Advertisement

রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনের লাগোয়া ভবনটি কেএফসির। কেএফসির সঙ্গে রয়েছে পিৎজা হাটসহ আরও কয়েকটি রেস্টুরেন্ট।শুক্রবার (১ মার্চ) কেএফসি-পিৎজা হাট খোলা থাকলেও নেই কোনো ক্রেতা। সারাদিন অনেকটা ক্রেতাশূন্যই ছিল কেএফসি-পিৎজা হাট। তবে অনলাইনে কিছু ডেলিভারি হয়েছে বলে জানা গেছে এ দুটি রেস্টুরেন্ট সূত্রে।

মোসাদ্দেক হোসেন নামের স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পুড়ে যাওয়া ভবনসহ পাশের কেএফসি ও পিৎজা হাটে মানুষের ভিড় থাকতো সবসময়। বিশেষ করে শুক্রবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ ভিড় লক্ষণীয়। তবে বেইলি রোডে আগুনের ঘটনার পর এ দুটি রেস্টুরেন্টে ক্রেতা নেই বললেই চলে। সারাদিন খোলা থাকলেও কোনো মানুষ আসছে না।

নির্বাক চোখে পুড়ে যাওয়া ভবনটি দেখছিলেন সাবিহা ইয়াসমিন। সঙ্গে ছিল সাত বছরের শিশু সন্তান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শুক্রবার হলে পরিবারসহ বেইলি রোডে এসে কেনাকাটা করি আমরা। কেনাকাটার পর এখানকার জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করি। কিন্তু আজকে কোনো মার্কেটেই যেতে মন টানলো না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে হঠাৎ গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের নিচতলার একটি চায়ের দোকান থেকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে ৪১ জনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনজনের মরদেহ ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

টিটি/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement