রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা ভবনে আগুনে দগ্ধ হয়ে দুই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- তুষার হালাদার ও অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তাদের মধ্যে তুষার হালাদার স্টারটেক নামের একটি অনলাইন পোর্টালের মাল্টিমিডিয়া বিভাগে এবং অভিশ্রুতি শাস্ত্রী দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে কর্মরত ছিলেন।
Advertisement
নিহত তুষার ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলা শৌলজালিয়া গ্রামের দীনেশ চন্দ্র হাওলাদারের ছেলে। তবে, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তুষারের মরদেহ শনাক্ত করেন তারা চাচা সুমন হাওলাদার। অপরদিকে, অভিশ্রুতির মরদেটি শনাক্ত করেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের প্রধান প্রতিবেদক মো. গোলাম রাব্বানী।
জানা গেছে, কিছু দিন আগে স্টারটেক নামের একটি অনলাইন পোর্টালের নতুন চাকরিতে যোগ দেন। তুষার তার নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের জন্য খাবার আনতে বেইলি রোডের ভবনটিতে গিয়ে প্রাণ হারান। তুষার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেন। পরে তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভেও কাজ করেছিলেন।
Advertisement
নিহত তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছেলে মৃত্যুর খবর শুনতে পাই। তুষারের মা অসুস্থ তাই তাকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। আমি কি করে ওর মাকে এ খবর জানাবো।
দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের প্রধান প্রতিবেদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা সকালে জেনেছি অভিশ্রুতিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। পরে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করি।
তিনি আরও বলেন, অভিশ্রুতির গ্রামে বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। বর্তমানে সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় থাকতেন। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। সে ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের স্নাতকের পড়াশোনার পাশাপাশি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের হয়ে নির্বাচন কমিশন বিটে কাজ করতেন।
আগুনের ঘটনায় মোট ৪৬ জনের মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ভোর ৫টা থেকে এ পর্যন্ত ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ছয়জনের মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি।
Advertisement
কাজী আল-আমিন/এমএএইচ/এএসএম