ভোজন রসিকদের অন্যতম প্রিয় জায়গা হলো বেইলি রোড। বেইলি রোড মানেই বাহারি খাবার-দাবারের আয়োজন। এ খাবারের স্বাদ নিতে লোকজন ছুটে আসেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে।
Advertisement
তবে বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটে। এ ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৪৬ জনের। এতে স্তব্ধ হয়ে আছে পুরো এলাকার পরিবেশ।
যদিও সকাল থেকেই বেইলি রোডের খাবার হোটেল ও দোকানগুলো খোলা হয়েছে। তবে নেই ক্রেতার কিংবা হোটেল কর্মচারীদের হাঁকডাক। পুরো বেইলি রোড় জুড়েই যেন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিন সকালে বেইল রোডের সুইস, এ ওয়ান, আল খাব্বাজ, আল এরাবিয়া, হট কেক, মিনি সো, প্যারাডাইস ফুট জুসবার, কফি লাইনসহ আরও কয়েকটি খাবার দোকান খুলেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে এসব দোকানে অন্যান্য দিনের মতো ক্রেতা নেই। সকাল থেকেই যেখানে ক্রেতার আগমন ঘটে, সেখানে হাতেগোনা ক্রেতার দেখা মিলছে।
Advertisement
আরও পড়ুন
বেইলি রোডে আগুন/‘পোড়া ভবন দেখে এখনো শরীর কাঁপছে’ বেইলি রোডের আগুন নিয়ে যা লিখলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘পোড়া ভবন দেখে এখনো শরীর কাঁপছে’ফাস্টফুড বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ৮টার দিক থেকেই আমাদের বেচাবিক্রি শুরু হয়। আজ কাল ১১টা বেজেছে কিন্তু ক্রেতা নেই। ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারনে অনেকেই বের হননি, আবার যারা এসেছেন তারা কৌতুহল বসত পুড়ে যাওয়া বিল্ডিংটিকে দেখতে এসেছেন। একই কথা জানান মুখলেছুর রহমান নামে আরেক বিক্রেতা।
সমুচা খেতে খেতে কথা বলেন শরিফ নামে একজন ক্রেতা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিনের আড্ডা আমাদের বেইলি রোডে। কাল হাটাহাটির পর একটু ফাস্টফুড খেয়ে বাসায় ফিরি। আজও কয়েকজন হাঁটাহাঁটি করতে বের হয়েছি। অন্যরা খাবার হোটেলে বসেনি, সবাই বাসায় চলে গেছেন। অনেকের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই আবার স্বজন হারিয়ে শোকাহত। এ কারনে ক্রেতারা আসছেন না।
আরও পড়ুন
Advertisement
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো সাততলা বিল্ডিং এর প্রটিতি ফ্লোরে। তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছেন। যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।
ইএআর/এসআইটি/এমএস