রাজধানীর বেইলি রোড অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় একটি সড়কের নাম। বিশেষ করে তরুণদের কাছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ভিড় বাড়তো বেইলি রোডে। সম্প্রতি বেইলি রোডে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন নামি-দামি রেস্টুরেন্ট। সেখানে প্রতিদিন ভিড় করেন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ, এরপর চারদিকে দাউ দাউ আগুন।
আরও পড়ুন
বেইলি রোডের আগুন নিয়ে যা লিখলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘পোড়া ভবন দেখে এখনো শরীর কাঁপছে’আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মারা যান ৪৬ জন।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লাগে, সেটি সাততলা। ভবনের প্রথমতলা অর্থাৎ নিচতলায় একপাশে ছিল মোবাইলের দোকান অন্যপাশে চায়ের চুমুক নামের একটি রেস্টুরেন্টে, দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের খাবারের দোকান। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান। তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রেস্টুরেন্টগুলোর প্রতিটিতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হয়েছে।
আরও পড়ুন
Advertisement
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই ভবনে একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল, ছিল সিলিন্ডারও। এজন্য ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। যার জন্য দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
টিটি/এমআরএম/এমএস