জাতীয়

সড়কে উৎসুক জনতা, সবার দৃষ্টি পুড়ে যাওয়া ভবনের দিকে

এমন সকাল কখনো দেখেনি বেইলি রোডের বাসিন্দারা। অন্যান্য দিনের মতো বেইলি রোডে চলছে না গাড়ি। যদিও সাধারণ মানুষের চলাচল রয়েছে এ পথে। একটু পর পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। তবে নেই গাড়ির হর্ন কিংবা রিকশার বড় জটলা।

Advertisement

আরও পড়ুন 

বেইলি রোডে আগুনে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক বেইলি রোডের আগুন নিয়ে যা লিখলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভবনের নিচে চায়ের দোকানে বিস্ফোরণ থেকে বেইলি রোডে আগুনের শুরু

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে। মাত্র দুই ঘণ্টায় আগুন লেগে প্রাণ গেছে ৪৩ জনের। দগ্ধ এবং আহত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ পথে যারা যাতায়াত করেন তাদের অনেকেই উদাস দৃষ্টিতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। অনেকে থেমে দেখছেন আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটিকে।

Advertisement

চামেলিবাগের বাসিন্দা আশিক জাগো নিউজকে বলেন, আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম। রাতেই শুনেছি আমার বন্ধু আগুনে দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে আছে। তাকে দেখতে যাওয়ার আগে স্থানটি দেখে গেলাম যেটা অর্ধশত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

আরও পড়ুন

অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে চাইলে যেখানে পাবেন আগুন নেভানোর যন্ত্র আগুন-ধোঁয়ায় সেকেন্ডেই বাজবে ফায়ার এলার্ম অগ্নিনিরাপত্তায় গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক ‘সেফমেট’

আসাদ নুর নামে অপর একজন বলেন, এখনো দেখে শরীর কেঁপে উঠছে। দুপুরবেলা আমি পরিবার নিয়ে এখানে খাবার খেয়েছি আর রাতের বেলা দুর্ঘটনা। আজ কতো মানুষের প্রাণ গেছে, আল্লাহ মাফ করুন।

ইএআর/এসএনআর/এমএস

Advertisement