রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনের ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা গেছেন অন্তত ৪৩ জন। বহুতল ভবনটির নিচে থাকা একটি চায়ের দোকানের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী যুবক রিফাত৷
Advertisement
শুক্রবার (১ মার্চ) ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ দাবি করেন।
রিফাত বলেন, আমি পল্টন থানা ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। বন্ধুরা মিলে প্রায় প্রতিদিনই ওখানে আড্ডা দেই। হঠাৎ শুনি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভবনের সিঁড়িও অনেক সরু। সিঁড়িতেও বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার রাখা ছিল। সেগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন
Advertisement
রিফাত আরও বলেন, আগুন দেখে আমি ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই, পুলিশকেও ফোন দেই। ফায়ার সার্ভিস আসতে একটু লেট করেছে, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। আগুন লাগার সময় আমি ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলাম। আগুনের চাইতে ধোঁয়ায় বেশি মানুষ মারা গেছে।
বেইলি রোডের ওই ভবনে আগুনের ঘটনায় রিফাতের ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রীসহ দুই সন্তান মারা গেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসে আগুনের ঘটনায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
Advertisement
এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড (নিচতলা) থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তবে শর্টসার্কিট না গ্যাসের কারণে হয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে ক্যামিকেল টেস্ট করা হবে। এরপর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
অন্যদিকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বার্তায় দাবি করেছে, আগুনের সূত্রপাত হয়েছে ওই ভবনের নিচতলার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে।
এনএস/এমএইচআর