জাতীয়

বিদ্যুতের দাম বাড়লো, গেজেট জারি

দেশে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লো। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দাম বাড়ার গেজেট জারি করেছে সরকার। নির্বাহী আদেশে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম চলতি (ফেব্রুয়ারি) মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে বলে গেজেটে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৭০ পয়সা বেড়েছে। ইউনিটপ্রতি খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ালে মূল্যস্ফীতি ভয়াবহ হবে’

পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে ৫ শতাংশ। এতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৪ পয়সা।

Advertisement

এর আগে গত বছরের ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে গেজেট জারি হয়, যা ওই মাস থেকেই কার্যকর হয়েছিল। এখন এক বছর পর ফের বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম।

সব বিতরণ কোম্পানির ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি লাইনের জন্য পাইকারি বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা এবং ৮ টাকা ৪৭ পয়সা। এর বাইরে ৩৩ কেভি লাইনের জন্য পিডিবির বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ টাকা ৬২ পয়সা, আরইবির ক্ষেত্রে ৬ টাকা ২৩ পয়সা, ডিপিডিসির ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ডেসকো ৮ টাকা ৫৮ পয়সা, ওয়েস্টজোনের ক্ষেত্রে ৭ টাকা ৪৬ পয়সা এবং নেসকোর ৭ টাকা ৪ পয়সা।

আরও পড়ুন: রোজা সামনে রেখে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অসহনীয়: চুন্নু

‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩’ এর ধারা ৩৪ক-তে দেওয়া ক্ষমতাবলে ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে গেজেটে জানানো হয়।

Advertisement

আবাসিকের লাইফ লাইন (৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী) গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৪০ পয়সার জায়গায় ৫ টাকা ২৬ পয়সা গুনতে হবে।

এছাড়া আবাসিকের ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে ৭ টাকা ২০ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ৭ টাকা ৫৯ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ২ পয়সা হয়েছে।

৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত আবাসিকের ব্যবহারকারীদের প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৪৪ পয়সার পরিবর্তে ১২ টাকা ৬৭ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের প্রতি ইউনিটের দাম ১২ টাকা ৩ পয়সার পরিবর্তে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা গুনতে হবে।

এক্ষেত্রে আগে মাসে ডিমান্ড চার্জ ৩৫ টাকা ছিল, এখন সেখানে বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা।

সেচ বা কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাম্পের ক্ষেত্রে আগে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। এখন সেখানে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ২৫ পয়সা। ডিমান্ড চার্জ ৪২ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫ টাকা।

ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে এখন ফ্ল্যাট রেট ১০ টাকা ৭৬ পয়সা, অফ পিকে ৯ টাকা ৬৮ পয়সা এবং পিকে ১২ টাকা ৯৫ পয়সা। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৮ টাকা ৯৬ পয়সা, ৮ টাকা ৬ পয়সা এবং ১০ টাকা ৭৫ পয়সা। ডিমান্ড চার্জ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা।

নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১২ টাকা ৬০ পয়সার স্থলে এখন ১৫ টাকা ১৫ পয়সা গুনতে হবে। শিক্ষা, ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি নতুন দাম ৭ টাকা ৫৫ পয়সা। আগে যা ছিল ৬ টাকা ৩২ পয়সা। রাস্তার বাতি ও পানির পাম্পের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ খরচ ৮ টাকা ৯ পয়সার পরিবর্তে ৯ টাকা ৭১ পয়সা হলো।

এছাড়া ‘বাণিজ্যিক ও অফিস’ শ্রেণিতে ইউনিট প্রতি ফ্ল্যাট রেট ১০ টাকা ৮২ পয়সার পরিবর্তে ১৩ টাকা ১ পয়সা, অফপিকে ৯ টাকা ৭৩ পয়সার পরিবর্তে ১১ টাকা ৭১ পয়সা ও পিক সময়ে ১২ টাকা ৯৮ পয়সার পরিবর্তে ১৫ টাকা ৬২ পয়সা দিতে হবে। মাসিক ডিমান্ড চার্জ ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা হয়েছে।

আরএমএম/জেডএইচ/এমএস