খেলাধুলা

‘কুমিল্লা এসব বড় ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত’-নিজেদের এগিয়ে রাখছেন জাকের

দলে আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন, মঈন আলি আর জনসন চার্লসের মত চার-চারজন বড় বিদেশি তারকা। অথচ তাদের কারো এতটুকু অবদান ছাড়া দুই বাংলাদেশি ব্যাটারের চওড়া ব্যাটে মিলেছে ফাইনালের টিকিট। এটাই বলে দিচ্ছে কুমিল্লার শক্তি-সামর্থ্য কতটা। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ ও বোদ্ধা তাই শুক্রবার ফাইনালে কুমিল্লাকে ফেবারিট মানছেন। তবে কুমিল্লার তরুণ কিপার কাম মিডলঅর্ডার জাকের আলী অনিকের কথা শুনে মনে হচ্ছে, টিম কুমিল্লা মোটেই আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না এবং দলটির ক্রিকেটাররা সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নবাবদের আদি নিবাস আহসান মঞ্জিলে ট্রফি হাতে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জাকের আলী বলেন, ‘ফাইনালে উঠলেই যে ট্রফি পেয়ে যাব, এমন কিছু না। ফাইনালে পারফরম্যান্স করেই কুমিল্লা প্রত্যেক বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ বছর এর ব্যতিক্রম থাকবে না। ফাইনালে উঠেছি যেহেতু, আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো পারফরম্যান্স করে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিপিএলে আগে কখনই ফাইনালে হারেনি কুমিল্লা। যে চারবার ফাইনাল খেলেছে, প্রতিবারই জিতেছে। এর মধ্যে টানা তিনবার শিরোপাও জিতেছে কুমিল্লা।

এদিক থেকে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন জাকের। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস হলো, কুমিল্লা এসব বড় ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত। কুমিল্লা ফাইনাল খেলে অভ্যস্ত। আমরা দল হিসেবে জানি কীভাবে এ ম্যাচগুলোতে পারফরম্যান্স করতে হয়।’

Advertisement

যদিও প্রতিপক্ষ বরিশালকে খাটো করে দেখছেন না জাকের। ফাইনালে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলার দৃঢ় সংকল্প তার মুখে, ‘যেহেতু ফাইনাল ম্যাচ; অবশ্যই বরিশাল দল অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেই এসেছে। আমরাও প্রতিপক্ষ হিসেবে সব টিমকেই সবসময় সম্মান করি। ফাইনালেও এর ব্যতিক্রম থাকবে না। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে, ফাইনালেও আমরা সে চেষ্টা করব।’

প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে আগে ফাইনালে যাওয়ায় বাড়তি বিশ্রাম মিলেছে। সেটাকে অবশ্য বিশ্রাম মানতে নারাজ জাকের, ‘আসলে বিশ্রাম বলতে আমরা বসে ছিলাম না, সবাই ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করছিলাম। আমরা আমাদের ফিটনেসের কাজ করেছি। যার অনুশীলন দরকার ছিল অপশনাল ট্রেনিং হয়েছে। ভিডিও, খেলা দেখছিলাম বরিশাল-রংপুরের, দেখছিলাম যে কে আমাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি, এখন বাকিটা ফাইনালে প্রমাণ করার ব্যাপার।’

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

Advertisement